পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাবণ সেনা তাহার রক্ষার্থ নিযুক্ত করে । অতঃপর শূৰ্পণখা দণ্ডকারণ্যে সীতাকে ভক্ষণ করিতে উদ্যত হইলে, লক্ষ্মণ তাহার নাসিক কর্ণ ছেদন করেন । খরসহ রাক্ষসসৈন্য নাশ হইলে, শূৰ্পণখা লঙ্কায় গমন পূর্বক রাবণকে সমুদার অবগত করে। মারীচ কর্তৃক রাম লক্ষ্মণ কুটার হইতে দূরে নীত লইলে রাবণ যোগিবেশে সীতাকে হরণ করে। লঙ্কায় পলায়ন করিবার সময় পক্ষীবর জটায়ুর সহিত ইহার ঘোরতর যুদ্ধ হয়। পক্ষীরাজ ইহার শরে মৃতপ্রায় হইয়া পতিত রছিলেন । তদনন্তর রাম বানররাজ সুগ্ৰীবের সাহায্যে ইহার অনুসন্ধান লইয়া, সমূদ্র বন্ধন পূর্বক বানর সৈন্যসহ লঙ্কায় উপস্থিত হন। সীতা প্রত্যাৰ্পণ পূৰ্ব্বক রামের সহিত সন্ধি করিবার জন্য বিভীষণ রাবণকে পরামর্শ প্রদান করেন । হইয়া তাহাকে তিরষ্কার, করে । তিনি অপমানিত হইয়া রামের নিকট আগমন পূর্বক তাহার আশ্রয়ে অবস্থান করেন । ঘোরতর যুদ্ধ করিয়া, রাবণ স্ববঃশে রামের হস্তে নিহত হয় । (রামা) রাম—বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। ইনি দশরথের ঔরসে কৌশল্যার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। বৈমাত্র ভ্রাতা দশানন অতিশয় ক্রুদ্ধ জীনের সময়, [ ২৩৮ ] রাম লক্ষ্মণ ইহঁার বড় অনুগত ছিলেন, এবং ছায়ার ন্যায় সকল সময়ে ইঙ্গার অনুসরণ করিতেন। ভ্রাতাদিগের সহিত ইনি ক্ষত্রিয়োচিত বিদ্যায় শিক্ষিত হইলেন। 轉 রামের চতুদশ বৎসর বয়সে, ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্র রাক্ষসদিগের উপদ্রব হইতে যজ্ঞ রক্ষা করিবার জন্য, ইহঁাকে লইবার জন্য অযেধ্যায় আগমন করেন । রাম ও লক্ষ্মণ র্তাহার অনুগমন করিলেন । সরযু তীরে ইহঁারা, তাহার নিকট “ বলা ও অতিবলা” মন্থে দীক্ষিত হইলেন । রাম তারকাকে বধ করিয়া, তাহার বন নিষ্কণ্টক করেন। ইনি রাক্ষসদিগকে হত ও তাড়িত করিলে, বিশ্বামিত্র নিৰ্ব্বিঘ্নে , যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। ঋষিবর ইহাকে ব্রহ্মাস্ত্র - সকল প্রদান করেন । অতঃপর মিথিলায় গমনার্থ যাত্রা করিয়া, ইনি গেীতমাশ্রমে উপস্থিত হইলে, অহল্য শাপযুক্ত হন। জনকরাজের রাজধানীতে উপনীত হইয়া, হরধনু ভগ্ন করিয়া সীতার পাণিপীড়ন করেন। পিতা ও ‘ ভ্রাতাদিগের সহিত মিথিলা হইতে অযোধ্যায় প্রত্যাবরাম পরশুরামের সাক্ষাৎ লাভ করেন। তিনি ইহার বীরত্বের সংবাদে ক্রুদ্ধ কুইয়া ইহঁাকে তাহার সুদৃঢ় ধমুকে বাণ যোজনা