পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামপ্রসাদ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহঁার পিতা রামরাম সেন সঙ্গতিপন্ন লোক ছিলেন না, কিন্তু তিনি পুত্রের বিদ্যাশিক্ষার্থ সাধ্যানুসারে ব্যয় করেন। রামপ্রসাদ বাঙ্গালা, সংস্কৃত, পারস্য ও হিন্দি ভাষা শিক্ষ । করেন। ইনি অধিক কাল অনন্যমনে বিদ্যার চর্চা করিতে পারেন নাই । পিতৃবিয়োগ হেতু পরিজন প্রতিপালন করিবার জন্য, ইহঁাকে ব্যতি ব্যস্ত হইতে হইল। . কলিকাতায় আগমন পূৰ্ব্বক, রাম প্রসাদ চাকরীর জন্য চেষ্টা করিয়া, জনৈক ধনীর গৃহে লেখকের কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলেন। ইনি একজন ভক্তিপরায়ণ লোক ছিলেন। অবসর প্রাপ্ত হইলে, ইনি কালী ও দুর্গানাম এবং সময়ে সময়ে কালীবিষয়ক গানও লিখিতেন । মধ্যে মধ্যে, এ সমস্ত দপ্তরের খাতাপত্রে লিখিয়া রাখিতেন । একদা উচ্চপদস্থ কোন কৰ্ম্মচারী খাতায় সেই সকল দেখিয়া, ধনীকে . দেখাইলেন। তিনি একজন ধাৰ্ম্মিক ও গুণগ্ৰাহী লোক ছিলেন । তিনি খাতায় রামপ্রসাদের নিম্নলিখিত গানটী পড়িয়া মুগ্ধ হইলেন— আমায় দাও মা তবিলদারী, তুমি নিমক হারাম নইশন্ধী . তিনি সন্তুষ্ট হইয়৷ ইহঁাকে এইরূপ গান রচনা করিতে বলেন । অতঃপর [ २8२ ] কার্য্যে হইতেন না । রামপ্রসাদ ধনীর কৃপায় মাসিক ত্রিশ টাকা বৃত্তি, নিৰ্দ্ধারিত হইলে, গৃহে প্রত্যাগমন পূর্বক ইনি অনন্তমনে আত্ম্যাত্মিক গীতি রচনায় প্রবৃত্ত হইলেন । রামপ্রসাদের সহিত নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিচয় হয়। গুণিগুণবিদ কৃষ্ণচন্দ্র ইহঁাকে সম্মান করিতেন এবং একশত বিঘা নিষ্কর ভূমি দান করিয়াছিলেন। ইনি বিদ্যাসুন্দর কাব্য রচনা করিয়া রাজাকে প্রদর্শন করেন। তিনি ইহঁাকে “কবিরঞ্জন” উপাধি প্রদান করেন। ইহঁার এই গ্রন্থ কবিরঞ্জনের বিদ্যাসুন্দর নামে বিখ্যাত। ইনি রাজার অতি প্রিয় পাত্র হইয়া উঠেন, কিন্তু কোন ক্রমে রাজসভায় উপস্থিত থাকিতে স্বীকৃত একদা ইনি র্তাহার সহিত মুরসিদাবাদে উপস্থিত হন। কথিত আছে যে, নৌকায় রামপ্রসাদের সুললিত গান শ্রবণে, নবাব সিরাজ উদ্দৌলা ইহঁাকে স্বীয় নৌকায় লইয়া ইহার গান শুনিয়া মোহিত হইয়াছিলেন । রামপ্রসাদ শ্রামাবিষয়ক অসংখ্য গান রচনা করিয়া গিয়াছেন। ইহার গান গুলি অতি সুললিত ও হৃদয়গ্রাহী । যে কোন বিষয় উপলক্ষে ইনি শুামাবিষয়ক গান রচনা করিতে পারিতেন। কলুর