ট্রাবান ইন্দ্রদ্যুম্ন—স্বৰ্য্যবংশীয় ইনি অতিশয় বিষ্ণুভক্ত ছিলেন। বিদ্যাপতি নামে একজন ব্রাহ্মণকে পুরুষোত্তমে পাঠাইয়া দেন। তিনি লীলাচলে নারায়ণ দর্শন করিয়া প্রত্যাগমন পূর্বক ইহঁাকেতবৃত্তান্ত বিশেষ করিয়া বলেন। রাজা তচ্ছ বণে সপরিবারে ও প্রজাবর্গের সহিত লীলাচল অভিমুখে যাত্রা করিলেন। পথিমধ্যে নারদমুখে শ্রবণ করেন যে নারায়ণ আর লীলাচলে নাই। তখন রাজা অতীব শোকাৰ্ত্ত হইয়া নারদের পরামর্শে বিষ্ণুর চারিটা মূৰ্ত্তি স্থাপন জন্য প্রস্তুত হন । বহুকালের যত্নে ইন্দ্ৰদ্যুম্ন জগন্নাথ দেবের মন্দির এবং প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপন করেন। ইরাবান—নাগবিশেষ। ইনি অর্জু নের ঔরসজাত তনয়। ইহার জন্ম সম্বন্ধে এইরূপ কথিত আছে যে নাগ ঐরাবতের পুত্র গরুড় কর্তৃক হত হইলে, নাগ বংশরক্ষার্থ [ २8 ] ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত অশ্বসেনা দ্বারা ধবংস করেন। অতঃ পর রাক্ষস অলমুষের হস্তে নিপতিত হন –( মহা...ভীষ্ম-৮৬অ ) ইলবিলা—কুবেরজননী। ইনি তৃণ বৃন্দের কন্যা এবং বিশ্রবার পত্নী। ইলল— দানববিশেষ। এ দাক্ষি <! ণাত্যের কোন প্রদেশের রাজা ছিল। ইহার ভ্রাতা বাতাপি । ইহারা অনেক মুনিঋষির প্রাণনাশ করিত। মৃগরূপী বাতাপির মাংস দ্বারা অতিথিদিগকে ভোজন করাইত। পরে মৃত সঞ্জীবনী মন্ত্রবলে দানব পুনর্জীবিত হইলে, ভোক্তাদিগের মৃত্যু হইত। অর্থের জন্ত একদা মহর্ষি অগস্ত্য, ইল্বলের নিকট উপস্থিত হইলে, এ র্তাহাকেও বাতাপির মাংস দ্বারা ভোজন করাইল। মুনিবর সমুদায় অবগত হইয়া তপোবলে বাতাপিকে জীর্ণ করিয়া ফেলিলেন। অতঃপর ইম্বল ইপিসত অর্থ দিয়া মুনিবরকে বিদায় করে।—(মহ) চিন্তিত হইলেন। পরে বীরশ্ৰেষ্ট ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত—বঙ্গভাষায় হান্ত অৰ্জুনকে অনুনয় দ্বারা সন্তুষ্ট করিয়া তাহার ঔরসে স্বীয় পুত্রবধুর গর্ভে পুত্র উৎপাদন করেন। ইরাবান একজন বীরপুরুষ ছিলেন এবং পিতৃসাহায্যার্থে ভারতযুদ্ধে উপস্থিত হইয়াছিলেন। অষ্টম দিনের যুদ্ধে সৌবলরাজের অশ্বসেন। নিজ রসের শ্রেষ্ঠ কবি । ১২১৩ সালে ভাগীরথীতীরে কাচড়াপাড়া গ্রামে ইহার জন্ম হয়। ইহার পিতা হরি নারায়ণ গুপ্ত তাদৃশ সঙ্গতিপন্ন লোক ছিলেন মা ; তজ্জন্ত পুত্রের যথারীতি বিদ্যাভ্যাস হয় নাই। গ্রামস্থ পাঠশালাতেই ইহার শিক্ষা