পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতা করিলে, খর রাক্ষস সসৈন্ত যুদ্ধার্থ উপস্থিত হয়। রাম রাক্ষস ধ্বংস করিতে প্রবৃত্ত হইলে, ইনি কুটীরে লক্ষ্মণ কর্তৃক পরিরক্ষিত হন।’ অতঃপর শূৰ্পণখার প্ররোচনায়, রাবণ মারচসহ পঞ্চবটীতে উপস্থিত হইল। মারীচ মায়াবলে মৃগরূপ ধারণ করিয়া ইহঁার দৃষ্টিগোচর হইলে, ইনি তাহাকে ধৃত করিবার জন্ত রামকে অনুরোধ করেন। ইহঁার রক্ষণাবেক্ষণার্থ লক্ষ্মণকে কুটীরে রাখিয়া, রাম মৃগের অনুসরণ করিলেন। বহুদূর গমন করিয়া মারীচ শরবিদ্ধ হইয়া, মৃত্যুসময়ে রামের স্বরে “হা সীতে, হা লক্ষ্মণ” বলিয়া চীৎকার করে। বিপদগ্ৰস্ত হইয়া রাম সেইরূপ কাতরোক্তি করিয়াছেন মনে করিয়া, সীতা লক্ষ্যণকে তৎসমীপে যাইতে আদেশ করেন। তিনি তাহাতে অসম্মত হইলে, ইনি তঁাহাকে ভৎসনা পৰ্য্যন্ত করিলেন। তখন অতীব দুঃখে তিনি সেই স্বর উদ্দেশে কুটার হইতে বহির্গত হইলেন। ইতিমধ্যে রাবণ সন্ন্যাসীর বেশে কুটীরে উপস্থিত হইয়া, ইহঁাকে হরণ করিল। ইহার কাতর বা কঠোৰ উক্তিতে রাক্ষস বিচলিত না হইয়া, ইহঁাকে লইয়া লঙ্কাভিমুখে ধাবিত হইল। পক্ষিবর জটায়ু ইহার রক্ষার জন্ত যুদ্ধে রাবণ হস্তে মৃত [ ২৮৫ ] সীতা প্রায় হইলেন। গমনকালে সীত। স্বীয় অলঙ্কার সকল পথে বিক্ষিপ্ত করিলেন । লঙ্কায় নীত হইয়া সীতা অশোক বনে রক্ষিতা হইলেন। রাবণ ইহঁাকে এক বৎসরের সময় দিয়া, অন্তথা ভক্ষণ করিবার ভয় প্রদর্শন পূৰ্ব্বক প্রস্থান করিল । রাক্ষসীগণে পবিবেষ্টিতা হইয়া, ইনি রামের বিরহে অতি কষ্টে দিন যাপন করিতে লাগিলেন। রাক্ষসীদিগের দুর্ব্যবহারেও কঠোর বাক্যে ইনি সৰ্ব্বদা জালাতন হইতেন। চেড়ীদিগের মধ্যে ত্ৰিজটা ইহার প্রতি সদ্ব্যবহার করিত। বিভীষণপত্নী সরমা ইহঁার প্রিয়কারিণী ছিলেন। তিনি অনেক সময় আশ্বাস প্রদান করিয়া ইহঁাকে সাস্তুনা করিতেন। এইরূপে দশমাস অতিবাহিত হইল। অতঃপর হনুমান লঙ্কায় উপনীত হইলে, সাঁতা তাহার মুখে রামের ংবাদ শ্রবণে সুখী হন। সমুদ্র বন্ধন পূর্বক, রাম বানরসৈন্তসহ লঙ্কায় উপস্থিত হইলে, ইহঁার মনে মুক্তির আশা উদয় হইল। মায়াবলে রাবণ রামের মৃতদেহাদি ইহঁাকে দর্শন করাইলে, ইনি মৰ্ম্মাহত হন। পরে সরমার নিকট প্রকৃত বৃত্তান্ত অবগত হইয়া আশ্বস্ত হইলেন। রাবণ সবংশে নিহত হইলে, ইনি রামের নিকট