পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

帧 হনুমান শাস্ত্রাদি শিক্ষা করেন । বালস্বভাবপ্রযুক্ত হনুমান আশ্রমে গমন পূৰ্ব্বক মুনিঋষিদিগের প্রতি নানারূপ অত্যাচার করিতেন । র্তাহারা ইহাকে অভিশাপ প্রদান করেন যে, কেহ বলিয়া না দিলে,ইনি স্বীয় বলের বিষয় অজ্ঞ থাকিবেন । ইহার সহিত সুগ্ৰীবের সৌহৃদ্য ছিল। ইনি কিষ্কিন্ধায় গমন পূৰ্ব্বক তাহার সহিত বাস করিতে লাগিলেন। বালীকর্তৃক সুগ্ৰীব তাড়িত হইলে, ইনি তাহার সহিত ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বতে অবস্থান করেন । সীতার “ অন্বেষণার্থ রাম লক্ষ্মণ ইহাদিগের নিকট উপস্থিত হইলে, ইনি তাহীদের সহিত সুগ্ৰীবের বন্ধুত্ব স্থাপন করেন । বালী-বধান্তে সুগ্ৰীব রাজা হইলে, ইনি সুখী হন। হনুমান কপিসৈন্যসহ সীতার অন্বেষণে বহির্গত হইলেন। অতঃপর নানাদেশ পরিভ্রমণ পূৰ্ব্বক সম্পাতির পরামর্শে লঙ্কাগমনে উদ্যোগী হন। সমুদ্র লঙ্ঘন করিবার সময়, ইনি সিংহিক নামী রাক্ষসীকে নিহত এবং সুরসাকে সন্তুষ্ট করিয়া লঙ্কায় উপনীত হন। পরে অশোকবনে সীতার সনদর্শন লাভ করিয়া সুখী হন। রাবণের [ ২৯৪ ] কথিত আছে যে, স্বৰ্য্যের নিকট ইনি হরিদাস রাক্ষসসৈন্তসহ অক্ষকুমারকে নিহত করেন। ইন্দ্রজিতের নাগপাশাস্ত্রে বন্দী হইয়া, ইনি রাবণ সভায় নাত হন । বস্ত্রখণ্ড সংযুক্ত করিয়া ইহার লাস্কুলে অগ্নি প্রদান করিলে, ইনি সেই অগ্নিতে লঙ্কা দগ্ধ করেন। অতঃপর সমুদ্র উত্তীর্ণ হইয়া, রাম সকাশে আগমন পূৰ্ব্বক, তাহাকে আনুপূৰ্ব্বিক সমস্ত নিবেদন করেন। রাম সাগর বন্ধন পূর্বক বানরসৈন্য সহ লঙ্কায় উপস্থিত হইলে, হনুমান অনেক রাক্ষস সৈন্য যুদ্ধে নিপাতিত করেন। লক্ষ্মণ শক্তিশেলে পতিত হইলে, ইনি ওষধিপৰ্ব্বত আনয়ন করিলে, ঔষধি প্রয়োগে তিনি সুস্থ হন। যুদ্ধান্তে ইনি রামের সহিত অযোধ্যায় গমন করেন । রামের দেহত্যাগের সময়, তিনি ইহঁাকে দীর্ঘজীবন যাপন করিতে আদেশ করেন । অতঃপর গন্ধমাদন পৰ্ব্বতে ইনি অবস্থান করিতে লাগিলেন । বনবাসকালে ভীমসেন ইহার নিকট উপস্থিত হইলে, ইনি তাহার বলদৰ্পচূৰ্ণ করিবার জন্ত, লাঙ্গুল উত্তোলন করিতে বলেন । তিনি তাহা না পারিয়া, লজ্জিত হইলেন। অতঃপর আত্ম পরিচয় প্রদানে, হকুমান তাহাকে সন্তুষ্ট করিলেন। (রাম, মহ) বলাবল পরীক্ষার্থ ইনি তাহার হরিদাস—সাধু বৈষ্ণব বিশেষ । প্রমোদ্ববন ভগ্ন করিয়া, বহু শাস্তিপুরের নিকটবৰ্ত্তী বুড়মগ্রামে,