পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস অতি নিৰ্ব্বোধ ও মুর্থ ছিলেন । এই সময় বিদ্যাবর্তী রাজকন্তু কমলা প্রচার করেন ষে যিনি বিচারে তাহাকে পরাজয় করিতে পারিবেন, তিনি র্তাহার পতি হইবেন। একদা রাজকন্তার নিকট কয়েকজন পণ্ডিত পরাজিত হইয়া প্রতিহিংসার উপায় অন্বেষণ করিতে করিতে দেখিতে পাইলেন যে কালিদাস কোন বৃক্ষশাখায় বসিয়া সেই শাখার মূলদেশ ছেদন করিতেছেন। তাহার এই মহা মুখকে বিদ্যাভিমানী কমলার সহিত বিবাহ দিতে বদ্ধপরিকর হইলেন । রাজতনয়াকে বিবাহের প্রস্তাবে ইনি আহলাদ পূৰ্ব্বক সন্মত হইলেন। কমলার সহিত বিচারের সময় পণ্ডিতগণের আদেশে ইনি নিজ মনোভাব ইঙ্গিত দ্বারা প্রকাশ করিতে লাগিলেন। পণ্ডিতবর্গ সেই সকল ইঙ্গিতের অর্থ করিয়া ইহঁকেই জয়ী করাইলে কালিদাসের সঙ্গে রাজকন্তার পরিণয় হইল। বাসরঘরে বরকন্যা সুখাসনে আসীন আছেন এমন সময় একটা উষ্ট্র শব্দ করিল। রসময় কবিতালহরি শ্রবণ মানসে রাজকন্যা কালিদাসকে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি ডাকিতেছে” । কিন্তু শ্লোকের পরিবর্তে কালিদাসের মুখ হইতে প্রথমে উঃ’ পরে উট্র শব্দ নিস্থত হইল। তখন কমল৷ [ sલ ] কালিদাস কপালে কঙ্কণাঘাত করিয়া নিম্নলিখিত শ্লোকে মনঃকষ্ট প্রকাশ করিলেন কিং ন করেীতি বিধি র্যদি রুষ্টঃ কি ন দদাতি স এব হি তুষ্টঃ । উষ্ট্রে লুম্পতি রং বা যং বা তস্মৈ দত্ত বিপুল নিতম্বা ॥ অতঃপর কালিদাসকে ঘরের বাহির করিয়া দিয়া কমলা শয্যায় আশ্রয় লইলেন। কালিদাস মহাদুঃখে বিশেষ যত্ন সহকারে অল্পকালের মধ্যে পণ্ডিত হইলেন । (কথিত আছে যে ইনি বনে ভ্রমণ করিতে করিতে সরস্বতীকুণ্ডের জল পান এবং তাহাতে অবগাহন করিয়া মহাকবি হইয়াছিলেন) তদনন্তর শ্বশুরালয়ে গমন পূৰ্ব্বক স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্ত তাহাকে দ্বার-উদঘাটন করিতে বলিলেন । কমলা কারণ জিজ্ঞাসা করিলে কবি উত্তর করিলেন— অস্তি কশ্চিৎ বাগৃ বিশেষঃ * । উক্ত চারিটী শব্দ লইয়া চারিখানি কাব্য প্রণয়ন করিতে স্ত্রী কর্তৃক আদিষ্ট হইলে কবিবর কুমারসম্ভব, মেঘদূত, রঘুবংশ প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণ 举 বিশেষ কালিদাসের কোন গ্রন্থের আদিতে দেখা যায় না। হয়ত তিনি বিশেষ’ দিয়া কোন কাব্য অরিন্ধ করেন নাই, নচেৎ সেগ্রন্থ বিলুপ্ত হইয়াছে, অথবা উত্ত্ব ঘটনাটি अर्जौक भौद्ध ।