পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুণাল এই সময়ে কোন উৎকট রোগে আক্রান্ত হন। সেই রোগে পীড়িত অন্ত কোন দরিদ্র ব্যক্তিকে ঐ রমণী আনয়ন পূৰ্ব্বক, বিষদানে তাহার প্রাণনাশ করে । পরে সেই ব্যক্তির উদর পরীক্ষা করিয়া এক প্রকাও কৃমি দেখিয়া তাহ পলাণ্ডুর রসে নাশ করে । তদনন্তর ঐ দুষ্ট। পলাতুরসে রাজাকে মুস্থ করিয়া, তাহার নিকট একটী বর লইল । সেই বরে রমণী এক সপ্তাহের জন্য রাজসিংহাসন প্রাপ্ত হইয়া কুণালের দুই চক্ষু উৎপাটন পূর্বক তাহাকে দেশ হইতে নিৰ্ব্বাসিত করিল। কুণাল ভিক্ষুকের বেশে দেশে দেশে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। র্তাহার সহিত সাধবী কাঞ্চনও গৃহ ত্যাগ করিলেন। বীণা বাজাইয়। যৎকিঞ্চিৎ উপার্জন করিয়া কুণাল সস্ত্রীক কোনক্রমে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতেন। একদা ইনি ভিক্ষুক বেশে পাটলীপুত্র নগরের রাজপ্রাসাদে উপস্থিত হইলেন । দ্বাররক্ষক সামান্য ভিক্ষুক জ্ঞানে ইহঁাকে পুরে প্রবেশ করিতে দিল না । তখন বীণার শব্দে মহারাজ অশোক কুণালকে চিনিতে পারিয়া, অতিশয় হৃষ্ট হইয়া ইহাকে গ্রহণ করিলেন ; এবং রোষভরে সেই দুষ্ট স্ত্রীলোকের প্রাণনাশের আদেশ প্রদান করিলেন। তখন কুণাল [ & 9 | কুবের অতি দীনভাবে পিতার নিকট এই বলিয়া তাহার প্রাণভিক্ষা চাহিলেন—“অন্ধ হইয়াছি বলিয়া আমার কোন ক্লেশ নাই। রমণী চক্ষু উৎপাটন করিয়া আমার মিত্রের কার্য্য করিয়াছেন, আমার ধৰ্ম্মচক্ষু প্রস্থ, টিত হইয়াছে, অতএব আমার অনন্তজীবনদাতার প্রাণবধ করিবেন না।” ( বুদ্ধদেবচরিত ) কুবলাশ্ব-মহারাজ বৃহদশ্বের পুত্র। ইনি অতি ক্ষমতাশালী নরপতি ছিলেন । মহর্ষি উতঙ্ক ত্রিলোকের উপকারের জন্ত দৈত্য ধুন্ধুকে বিনাশার্থ ইহঁাকে নিয়োজিত করেন। কুবলাশ্ব ধুন্ধুকে বিনাশ করিয়া ধুন্ধুমার নাম প্রাপ্ত হন । ( মহা ) কুবের—ধনাধিপ। ইনি ঋষি বিশ্র বার ঔরসে ইলবিলার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন । তপস্তায় ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করিয়া ইনি অমর এবং একজন দিকপাল হন । পুষ্পকরথও ব্রহ্মা ইহঁাকে অর্পণ করেন । ইনি উত্তরদিকের অধিপতি। যক্ষ ও কিন্নরগণ ইহঁার অধীন। ইনি প্রথমে লঙ্কায় বাস করিতেন, পরে বৈমাত্র ভ্রাতা রাবণ ইহঁাকে স্থানচ্যুত করেন। তৎপরে পিতার আদেশে ইনি কৈলাস শৈলে বাসস্থান নিৰ্দ্ধারিত করেন । ইহঁার পুরীর নাম অলক৷ এবং পুত্রের নাম নলকুবর। ইহঁর সহিত মহাদেবের মিত্রত হয় । ,