কৃষ্ণ I to J কৃষ্ণ রাজের পর্বতগহবরে লইয়া, রাজার দ্বারা তাহার ধবংস সাধন করেন। বিদর্ভরাজ ভীষ্মকের কন্যা রুক্মিণী অতি রূপবতী ও গুণবতী ছিলেন । কথিত আছে তিনি কৃষ্ণের প্রতিআসক্ত হইয়া তাহাকে পতিভাবে পাইতে ইচ্ছুক হইয়া পত্রসহ দূত প্রেরণ করেন । রুক্মিণীর বিবাহ উপস্থিত হইলে, তৎসময়ের রীত্যনুসারে কৃষ্ণ তাহাকে হরণ করিয়া বিবাহ করেন । তাহার গর্ভে কৃষ্ণের প্রত্যুম্ন প্রমুখ দশটা পুত্র এবং চারুমতী নামী কন্যা জন্ম গ্রহণ করে । ধৰ্ম্মাত্মা পাগুবদিগের উপর কৃষ্ণের বড় প্রীতি ছিল। বিশেষতঃ পাণ্ডবমধ্যম অৰ্জুনের গুণে বশীভূত হইয় তাহার সহিত সখ্য স্থাপন করেন । দ্ৰৌপদীর স্বয়ম্বরে কৃষ্ণ উপস্থিত ছিলেন। ভীমাৰ্জুনের সহিত অন্যান্য রাজন্তবর্গের বিরোধ উপস্থিত হইলে, ইনি সে বিবাদ ভঞ্জন করেন। ; পাগুবদিগের রাজস্থয় যজ্ঞকালে কৃষ্ণ ইন্দ্র প্রস্থে উপস্থিত থাকিয়া সুচারুরূপে যজ্ঞ সমাধান জন্ত যত্ন করেন । যজ্ঞারম্ভের পূৰ্ব্বে কৃষ্ণ ভীমাৰ্জ্জুন সহ মগধপুরীতে উপস্থিত হইয়া জরাসন্ধকে বন্দী নৃপতিদিগকে মুক্ত করিতে অথবা তিন জনের একতমের সহিত যুদ্ধ করিতে বলায়, জরাসন্ধ জীমের সহিত যুদ্ধে নিহত = হইলেন। যজ্ঞে , ভীষ্মের আদেশে অর্চনার অর্ঘ্য কৃষ্ণকে সৰ্ব্বাগ্রে অর্পণ করা হয় । তাহাতে শিশুপাল ইছার বিরুদ্ধে অস্ত্র গ্রহণ করিলে, কৃষ্ণ তাহাকে নিহত করেন। ইহঁার মতানুসারে অর্জুন সুভদ্রাকে হরণ করিয়া বিবাহ করেন। খাণ্ডববন দাহ করিতে সাহায্য করায়, অগ্নি বরুণদেবের নিকট হইতে ইহঁাকে শুদর্শন চক্র এবং কৌমদকী গদা প্রদান করেন । ত্রয়োদশ বৎসর রাজ্যচু্যতির পর বিরাট রাজভবনে পাণ্ডবগণ অভিমনু্যর বিবাহ দিতে প্রস্তুত হইলে, কৃষ্ণ তথায় উপস্থিত হন। দুৰ্য্যোধনের সহিত সন্ধি করিতে পাগুবদিগের মতি লওয়াইয়া এবং হস্তিনায় দূত প্রেরণের পরামর্শ দিয়া, কৃষ্ণ দ্বারকায় গমন করেন। যুদ্ধাশঙ্কায় ইহঁাকে বরণ করিতে, দুৰ্য্যো ধন ও অর্জুন দ্বারকাতে উপস্থিত হন। তাহারা ইহার গৃহে প্রবেশ পূৰ্ব্বক ইহঁাকে নিদ্রিত দেখিয়া তথায় উপবিষ্ট হইলেন । জাগ্রত হইয়া ইনি অগ্ৰে অৰ্জুনকে পরে দুৰ্য্যেধনকে দর্শন করেন। যুদ্ধে ইনি কোন পক্ষে অস্ত্র ধারণ করিবেন না স্থির করিয়া, দুৰ্য্যে্যধনের ইচ্ছামত তাহাকে এক অৰ্ব্বদ নারায়ণী সেন দিয়া, অর্জুনের বাঞ্ছামত র্তাহার সারথি হইতে স্বীকৃত হইলেন । কুরুপাণ্ডবে সন্ধি স্থাপন জন্ত কৃষ্ণ হস্তিনাপুরে গমন করিয়া বিফল
