পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচন্দ্র ইনি মৃগয়াকালে ব্যান্ত্রের ভ্রর মধ্যে শর বিদ্ধ করিতে পারিতেন । পিতার মৃত্যুর পর কৃষ্ণচন্দ্র রাজা হন। কৃষ্ণচন্দ্র বিদ্বানদিগের সম্মান করি তেন এবং তাহাদিগকে আর্থিক সাহায্য করিয়া সুখী হইতেন। কবি ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদ ইহঁার সাহায্য পাইয়াছেন। পণ্ডিত বাণেশ্বর ইহার সভাসদ ছিলেন। ইনি অনেক ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদিগকে নাথেরাজ জমি দান করিয়া গিয়াছেন । ইনি বাজপেয়ী যজ্ঞ সম্পন্ন করেন । মুরসিদাবাদের স্বেচ্ছাচারী নবাবদিগের অধীন থাকায়, কৃষ্ণচন্দ্রকে অনেক সময় লাঞ্ছনা ভোগ করিতে হইত। সিরাজউদ্দৌলার অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়, ইনি তাহাতে লিপ্ত ছিলেন ; এবং সকলে মিলিয়া ইংরাজদিগের হস্তে দেশ রক্ষার ভার অর্পণ করেন। ইংরাজেরা তজ্জন্ত ইহঁার মান্য করিতেন। পলাশির যুদ্ধের পর ইহঁাকে পাচটী কামান উপঢৌকন দেওয়া হয় এবং দিল্লীর সম্রাটের নিকট হইতে “মহারাজেন্দ্র বাহাদুর’ উপাধি প্রদত্ত হয়। ১৭৮০ খৃঃ কৃষ্ণচন্দ্রের মৃত্যু হয়। (চরিতাষ্টক ) কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন—মুনিবর পরাশরের =পুত্র। দাসরাজ বসুর কন্যা সত্য [ &१ ] কেকয়ী বতীর গৰ্ত্তে ইহঁার জন্ম হয়। বালাকালে ইনি তপস্যার্থ বনগমন করেন। তপস্যায় বিশেষ উন্নতি লাভ করিয়া বেদ বিভাগ পুৰ্ব্বক, ইনি ব্যাস নামে খ্যাত হইলেন । ( ব্যাস দেখ )। কেকয়ী—কেকয় দেশের রাজকন্যা । ইহঁার সহিত রাজা দশরথের বিবাহ হয়। ইহঁার পুত্রের নাম ভরত। একদা দশরথ, যুদ্ধে আহত হইয়া কেকয়ীর শুশ্রীষায় আরোগ্য লাভ করেন। তজ্জন্ত ইহঁার উপর অতীব সন্তুষ্ট হইয়া দুইট বর দিতে প্রতিশ্রুত হন । যখন দশরথ জ্যেষ্ঠপুত্র রামকে যুবরাজ করিবার জন্য প্রস্তুত হন, তখন কেকেয়ী পরিচারিকা মন্থরার কুপরামর্শে চালিত হইয়া, পূৰ্ব্বদত্ত দুই বরে রামের চৌদ্দ বৎসর বনবাস এবং পুত্র ভরতের যুবরাজপদে অভিষেক বাঞ্ছা করেন। রাম ও লক্ষণ বনগমন করিলে, এরং দশরথের মৃত্যু হইলে, ভরত মাতুলালয় হইতে অযোধ্যায় আগমন পূৰ্ব্বক ইহঁাকে ভৎসনা করিয়াছিলেন । পরে নিজকৃত অকৰ্ম্মের জন্ত ইনি সন্তাপিত হইয়া দুঃখে দিন যাপন করিতে লাগিলেন । বনবাস হইতে প্রত্যাগমন পূর্বক রাম ইহার সম্যক অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন । রামের অশ্বমেধ যজ্ঞ-শেষে কৌশ