পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাধি [ ७१ ] গঙ্গী ইছার অনুরোধে মুনিবর পুত্র নিকট উপস্থিত হইয়৷ স্বপক্ষের কামনা করিয়া যজ্ঞ করিয়াছিলেন। জয় কামনা করিতে ইহঁাকে অনু নৃপমহিষী সেই যজ্ঞের চরু ভক্ষণ করিয়া রাজার ঔরসে বিশ্বামিত্রকে গর্ভে ধারণ করেন। (রামা, মহা) গান্দিনী—অকুরের মাতা। কাশী রাজ ইহার পিতা ছিলেন। কথিত আছে যে ইনি নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত মাতৃগর্ভে ছিলেন। ইহঁার শুভ কামনা করিয়া কাশীরাজ প্রত্যহ একটী গাভী দান করিতেন বলিয়া ইহঁার নাম গান্দিনী রক্ষিত হয় । ইহার সহিত যদুবংশীয় শ্বফন্ধের পরিণয় হইলে ইহঁর গর্ভে অক্ররের জন্ম হয় । ( ভাগবত ) গান্ধারী—দুৰ্য্যোধনাদির মাতা। ইনি গান্ধার দেশের অধিপতি সুবল রাজার তনয় ছিলেন। ইহার সহিত কুরুবংশীয় অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের পরিণয় হয়। পতি অন্ধ বলিয়া ইনি বস্ত্রখণ্ড দ্বারা নিজ চক্ষু আজীবন বন্ধন করিয়া রাখেন। ইহার গর্ভে দুর্ষ্যোধন প্রমুখ শতপুত্র জন্ম গ্রহণ করে । ইনি দুৰ্য্যোধনকে সাধুপথ অবলম্বন করিতে পরামর্শ দিয়া পাগুবদিগের সহিত সৌহার্দ স্থাপন করিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু দুৰ্য্যোধন ইহার সৎবাক্যে কৰ্ণপাত করেন না। যুদ্ধ আরম্ভ ছুইলে, দুৰ্য্যোধন সময় সময় ইহার রোধ করিতেন । ইনি কেবল এই মাত্র বলিতেন, “যে পক্ষে ধৰ্ম্ম, সেই পক্ষেই জয় ।” ভারতযুদ্ধের পর কৃষ্ণসহ পাণ্ডবগণ ইহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আগমন করিলে, ইহার শতপুত্রের শোক উচ্ছসিত হয়। তখন ব্যাসদেব ইহঁার ক্রোধের শান্তি করেন। নেত্ৰবন্ধ বস্ত্রের প্রান্তভাগ দিয়া ইনি যুধিষ্ঠিরের অঙ্গুলি সকলের অগ্রভাগ দর্শন করিলে, সে সকল বিকৃতিরূপ ধারণ করিল। অতঃপর যুদ্ধস্থলে গমন পূর্বক মৃতপুত্র ও আত্মীয় স্বজন জন্য বিস্তর শোক করেন । তদনন্তর গান্ধারী পনর বৎসর স্বামীসহ পাগুবদিগের অধীনে হস্তিনাপুরে অবস্থান করেন । তৎপরে ধৃতরাষ্ট্রের সহিত বনগমন পূৰ্ব্বক তিন বৎসর কাল তপশ্চরণ করিয়া গান্ধারী দাবানলে ভস্মীভূত হন। (মহা ) গগী –বিদূষী প্রাচীন ভারত মহিলা । ইনি গর্গমুনির তনয়৷ ছিলেন । ইহার ন্যায় বিদ্যাবর্তী ও প্রতিভাসম্পন্না অতি মল্প স্ত্রীলোক ভূমণ্ডলে জন্ম গ্রহণ করি য়াছেন । কথিত আছে যে ইনি জনকরাজের সভায় উপস্থিত হইয়া