পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুগোবিন্দ ভাষায় লিখিত কবিতায় সম্রাটকে পত্র লিখিলে, তিনি সন্তুষ্ট হইলেন । শিষ্যদিগকে বীতধনতৃষ্ণ করিতে গোবিন্দ নিজেও ধনের প্রতি আসক্তিহীন হন। একদা একজন ধনী শিষ্য গুরুকে একজোড়া মহার্য . সুবর্ণবলয় প্রদান করেন। গোবিন্দ তাহা দুই হাতে ধারণ করেন। পরে স্নান করিবার সময় নদীতে একগাছা পতিত হয়। সেই মহাজন ডুবরী দ্বারা তাহ উদ্ধার করিতে সঙ্কল্প করিয়া, গুরুকে সেইস্থান দেখাইয়া দিতে অনুরোধ করেন। গোবিন্দ অন্ত বলয় নদীতে নিক্ষেপ করিয়া বলেন যে উক্ত স্থানে প্রথম বলয় পড়িয়াছে। শিষ্যবৃন্দ গুরুর ব্যবহারে নিৰ্ব্বাক হইয়া বলয় প্রাপ্তির চেষ্টা না করিয়া প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। (ইতিহাস ) গুহক (গুহ)—নিষাদপতি বিশেষ। ইনি রামের বন্ধু ছিলেন। ভাগীরথী তীরে শৃঙ্গবের পুরে ইহঁার বাসস্থান ছিল । রাম বনবাস গমন কালে ইহঁার রাজ্যে উপস্থিত হইলে, ইনি তাহার যথোচিত সৎকার করেন। রাম ও লক্ষ্মণের জটা নিৰ্ম্মাণার্থ বটবৃক্ষের নির্য্যাস, জাহ্নবীর অপর তীরে যাইবার জন্য নৌকা প্রভৃতি প্রদানে ইনি পরম পরিতোষ লাভ করিলেন । রাম চতুর্দশ বৎসর পরে অযোধ্যায় [ ৬৯ ] গোপা প্রত্যাগমনের সময় গুহক তাহার সাক্ষাৎ লাভ করিয়া অতীব সুখী হইয়াছিলেন । ( রামা ) গোপা—শাক্যসিংহের বনিতা। ইনি কলিদেশের নরপতি দণ্ডপাণির তনয় ছিলেন । ইনি অতি রূপবর্তী ও গুণবতী রমণী ছিলেন । মহাত্মা শাক্যসিংহের বিবাহ কাল উপস্থিত হইলে, র্তাহার পিতা, পুত্রের জন্য অশোকভাণ্ড বিতরণের ব্যবস্থা করেন। অন্যান্য রাজপুত্রীর সহ ইনিও কপিলবস্তুতে উপস্থিত হইয়া অশোকভাণ্ডের প্রার্থী হইলেন। রাজকুমারের অশোকভাণ্ড শেষ হইলে ইনি উপস্থিত হন। এই উপলক্ষে দুই জনে কথোপকথন হইয়াছিল । তখন তিনি নিজ অঙ্গুরীয় ইঙ্গকে অর্পণ করিলেন। উভয়েই উভয়ের প্রতি আসক্ত হইলেন। অতঃপর উভয়ের বিবাহের কথা উপস্থিত হইলে, গোপার পিতা বলিলেন যে শাক্যসিংহ বীরত্বের পরিচয় দিয়া তাহার কন্যার পতি হইতে পারেন। তখন শাক্যসিংহ ব্যায়াম, শৌর্য্য, বিদ্যা, রাজনীতি ও শিল্প প্রভৃতির কৌশল প্রদর্শন করিয়া গোপার সহিত পরিণয় পাশে বদ্ধ হইলেন । গোপা অতি বুদ্ধিমতী, বিদ্যাবতী,