পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপা [ १s ] গোরকনাথ আজ তোমার পিতার নিকট গমন করিয়া পিতৃ ধনের জন্য প্রার্থনা কর”। এই বলিয়া গবাক্ষ দ্বার দিয়া উজ্জ্বল প্রশান্তমূৰ্ত্তি সন্ন্যাসী বুদ্ধকে দেখাইয়া দিলেন । বালক পিতৃ সমীপে গমন পূৰ্ব্বক শিষ্যবুন্দের মধ্যে পরিগণিত হইল । কয়েক বৎসর পরে বুদ্ধদেব পিতার মৃত্যু সময় কপিলবস্তুতে উপস্থিত হইলেন। রাজার মৃত্যুর পর গোপী প্রমুখ রাজপুরস্ত্রীগণ বুদ্ধের নিকট আগমন পূর্বক ধৰ্ম্মার্থ জীবন উৎসর্গ করিবার অভিলাষ প্রকাশ করিলেন। তখন বুদ্ধদেব র্তাহাদিগকে স্ত্রীভিক্ষুরূপে গ্রহণ করিয়া গোপাকে তঁহিীদের নেতৃত্বে নিয়োজিত করিলেন । ধৰ্ম্মশীলা গোপী সন্ন্যাসীনীরূপে লোকহিতকর ব্রতে দীক্ষিত হইয়া, প্রাণের সাধে আৰ্ত্তেব শুশ্রীষায় জীবনযাপন করিতে লাগিলেন। (বুদ্ধদেব চরিত) গোপালী—অঙ্গরাবিশেষ। গার্গ্য মুনির ঔরসে ইহার গর্ভে কাল যবনের জন্ম হয় । (হরি, বিষ্ণু ) গোরকনাথ—বিখ্যাত ধাৰ্ম্মিক । ইনি গোরক্ষপুরে জনৈক ধাৰ্ম্মিক গোপের গৃহে জন্ম গ্রহণ করেন। গ্রামস্থ অঙ্গন্য বালকদিগের দ্যায় = ইনিও বাল্যে গোধন চরাইতেন । একদা গোরকনাথ বনে গরু চরাতেছেন, এতন সময় একজন সন্ন্যাসী র্তাহার নিকট উপস্থিত হইলেন। আগন্তুকের সৌম্য মূৰ্ত্তি অবলোকনে ইনি নত হইয়া তাহার চরণ বন্দন করিলেন। তিনি কিছু আহারীয় দ্রব্য চাহিলে, ইনি শালপত্রে দুগ্ধ দোহন করিয়া তাহাকে প্রদান করিলে, তিনি তাহ পান করিয়া পরম পরিতোষ লাভ করিলেন । সন্ন্যাসীর সহিত আলাপে ইনি মুগ্ধ হইলেন। অতঃপর সেই মহাপুরুষ কিছু দিতে প্রস্তুত হইলে, গোরকনাথ বিবেচনা করিলেন যে তাহার নিকট ত এমত কোন দ্রব্য লইবেন যাহা অন্তের নাই। এই মনন করিয়া ইনি ধন, সম্পত্তি, রূপ, যৌবন, প্রভৃতি মনে মনে কল্পনা করিয়া দেখেন যে সে সকল অনেক লোকের আছে, এবং সেই সকলের নিমিত্ত কেহ বিশেষ সুখী নহে । প্রার্থিত দ্রব্য স্থির করিতে না পারিয়া, ইনি সাধু পুরুষকে এই বলিয়া প্ৰণিপাত করিলেন যে তিনি যাহা ভাল বিবেচনা করেন, তাহাই প্রদান করুন। কথিত আছে যে তখন মহাপুরুষ গোরকনাথকে বলিলেন ষে তিনি উৎকৃষ্ট দ্রব্য পাইবেন, কিন্তু তাহাকে এক সপ্তাহ কাল ইচ্ছানুরূপ কাৰ্য্য