পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম স্ট্র ধ্যায় । দেখিতে যাইতেন না। রোগাক্রমণের ভয়ই তাহার প্রধান কারণ। সেই সময়ে আমি মনে মনে চিন্তা করিলাম যে, ওলাউঠা, বসন্ত, বিকার জ্বর প্রভৃতি রোগের কোনটাই কম সংক্রামক নহে। এই সমস্ত রোগীর চিকিৎসা যখন আমরা নিৰ্ভয়ে.করিতেছি, তখন প্লেগ-রোগীর চিকিৎসা কেন না করিব ? এইরূপ বিৰেচনা করিয়া আমি এই প্ৰকার রোগীর চিকিৎসা করিতে আরম্ভ করিলাম । মনে কখনই হইত না যে, আমি এইরূপে রোগগ্ৰস্ত হইব । অবশ্য আমি সাবধান হইয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিয়া আহারাদি গ্ৰহণ কিরিতাম। আহারের সময়ে সাবধান না হইলে অনেক সময়ে এই সমস্ত ভীষণ রোগের বিষ শরীরস্থ হইতে পারে। আমি যে পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া চিকিৎসা করিতে যাইতাম তাহা পরিত্যাগ করিয়া পৃথক বস্ত্র পরিধানপূর্বক হস্ত পদ ধৌত করিয়া আহার গ্ৰহণ করিতাম, সুতরাং রোগের আক্রমণ হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছিলাম । মনুষ্যদেহ কি সুন্দর ও কিরূপ শক্তিশালী ! শরীরের শক্তি নষ্ট না করিলে ইহা বড় সুন্দর দেখায় ও ইহা দ্বারা নানাবিধ গুরুতর কাৰ্য্য সম্পাদিত হইয়া থাকে। যে ব্যক্তি নানা প্ৰকার দুস্ক্রিয়াসক্ত হইয়া শরীরের শক্তিক্ষয় করে এবং দেহের সৌন্দৰ্য্য নষ্ট করিয়া ফেলে, তাহা দ্বারা এই পৃথিবীর কোন কাৰ্যই সাধিত হয় না। আমাদের দেশের বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা অতিরিক্ত পরিশ্রম, রাত্রি জাগরণ, অসময়ে আহার গ্রহণ এবং অল্প বা অতিরিক্ত ভোজন করিয়া জীবনী শক্তি ক্ষয় করিয়া ফেলেন এবং তাহার ফল এই হয় যে, যশ ও সম্মানের সহিত পরীক্ষাৰ্ত্তীর্ণ হইয়াও কাজের সময় অসুস্থ হইয়া