পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। Ned করিয়া কাৰ্য্যস্থলে যাইতে ইয়।“অতি প্ৰাতঃকালে এইরূপে আহার করা উচিত নহে। এই সময়ে পাকস্থলীর ক্রিয় বড় প্রখর থাকে। না। সুতরাং এই সময়ে অল্প আহার করিলে ক্ষতি নাই। দুই প্ৰহরের সময় প্রচুর আহার করিয়া কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিলে শরীর সবল ও পরিপাকক্রিয়া উত্তমরূপে সাধিত হইতে পারে। কিন্তু আফিসের কৰ্ম্মচারীদিগের পক্ষে এরূপ সময়ে আহার করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। এই জন্যই আমরা এই শ্রেণীর লোকের মধ্যে অপাক, উদরাময়, শূলবেদনা প্রভৃতি রোগের অধিক প্রাদুর্ভাব দেখিতে পাই । বিদ্যালয়সমূহেও ১০টার পরই কাৰ্য্য আরম্ভ করিবার নিয়ম থাকাতে ছাত্র ও শিক্ষকগণকেও প্ৰাতঃকালে তাড়াতাড়ি করিয়া অহার করিতে হয় এবং সেই জন্য র্তাহাদিগেরও এইরূপ নানাবিধ পরিপাক-ব্যাঘাত-জনিত পীড়া হইতে দেখা যায়। অন্যান্য লোক । নিয়ম অনুসারে চলিলে এই সকল পীড়ার হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইতে পারেন। প্ৰত্যহ ঠিক এক সময়ে আহার করা উচিত। আজ এক । সময়ে, কাল অন্য সময়ে আহার করিলে নানাবিধ পিত্তসম্বন্ধীয়া পীড়া হইয়া থাকে। আহারের নিৰ্দ্ধারিত সময় অতীত হইলেই যকৃতের ক্রিয়া উত্তেজিত হয়। অনেক সময়ে পিত্ত নিঃস্থত হইয়া অন্ত্রের প্রথম অংশে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন সেখানে খাদ্যদ্রব্য উপস্থিত থাকিলে তাহাতে পিত্ত মিলিত হয় এবং পরিশুদ্ধরূপে পরিাপাকক্রিয়া সম্পাদিত হইয়া থাকে। তাহা না হইলে পিত্তরস অফঞ্চ, রূপে শোণিতে শোষিত হইয়া যায় এবং পিত্তের কঠিন পদার্থগুলি কঠিনতর আকার ধারণ করিয়া পাথরী উৎপন্ন করে। ইহাতেই