পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। (ტ.) এবং মস্তিষ্কের উপরেই এই উত্তেজনা অধিক প্ৰকাশ পায়, সুতরাং মস্তিষ্কের পক্ষে ইহা অধিক অনিষ্টকর। কাফি খাইলে যে নিদ্রা হয় মা, তাহা মস্তিষ্কের উত্তেজনা বশতঃই ঘটয়া থাকে। ইহার প্রতিক্রিয়াতে নিদ্ৰালুতা উপস্থিত হইয়া থাকে। " অনেকের বিশ্বাস, কাফি খাইলে, নানাবিধ দুযিত দ্রব্য আহার করিলে যে অপকার হয়, তাহা হইতে পারে না। এই জন্যই অনেকে অতিরিক্ত আহারের পর এক পেয়ালা কাফি খাইয়া তাহার দোষ নিবারণ করিবার চেষ্টা করেন। প্ৰথমতঃ এ চেষ্টা ফলবতী হয় বটে, কিন্তু কিছু দিন পরে আর তাহা হয় না, কেবল অতিরিক্ত কাফি-পান-জনিত অপকারই হইয়া থাকে। আমাদের দেশের লোকেরা কাফি অল্পই ব্যবহার করিয়া থাকেন। সুতরাং "ইহার দোষ বর্ণন বড় আবিষ্ঠক বলিয়া মনে হয় না। চায়ের মত ইহাতেও স্নায়বিক দুর্বলতা, অপাক প্রভৃতি রোগ উৎপন্ন হইতে দেখা যায় । তামাক আমাদের দেশে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। এক বার তামাক না খাইলে অনেকে কোন কাজই করিতে পারেন না। এই ধূমপান না করিলে অনেকের কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। আবার আমাদের দেশে কাহারও বাটীতে কোন ভদ্র লোক আসিলে অগ্ৰে তাহাকে তামাকু সেবন করিতে দিতে হয়, C58 ভদ্রত রক্ষা হয় না । অনেকে তামাকু সেবন করিয়া অতি দুরূহ কাজ সকল সহজে সম্পন্ন করিয়া থাকেন। কিন্তু তামাকুসেবনেও যে অনেক সময়ে অপকার হয়, তাহ কেহ ভাবিয়া দেখেন না । তামাকু হৃৎপিণ্ডের অনিষ্ট সাধন করে, সুতরাং যাহাঁদের