পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়। -edsoe C 1 পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব অধ্যায়ে যে সমস্ত কথা লিখিত হইয়াছে, শরীররক্ষা ও দীর্ঘ জীবন লাভ করিবার যে সমুদায় উপায় উল্লিখিত হইয়াছে, এবং আহার, বিহার, বাসগৃহ ও পরিচ্ছদাদির সম্বন্ধে যে সমুদায় কথা সংক্ষেপে প্ৰকটিত হইয়াছে, তৎসমস্ত কাৰ্য্যে পরিণত করা অবশ্যই কষ্টকর, সন্দেহ নাই। অনেকে হয়ত রলিবেন, এ সকল কথা ভাল বটে, কিন্তু এ সমস্ত কাৰ্য্যে পরিণত করা অতীব কঠিন ব্যাপার। আমরা সাংসারিক লোক, আমাদের পক্ষে এ সমুদায়ু উপদেশ অনুসারে। কাৰ্য্য করা অসম্ভব বলিলেও হয়। আমার এক সমব্যবসায়ী চিকিৎসককে এই সমুদায় নিয়ম পালনপুৰ্ব্বক আপনার স্বাস্থ্য রক্ষা করিয়া দীর্ঘ জীবন লাভ করিবার উপদেশ দিয়াছিলাম। তিনি স্পষ্টই আমাকে বলিয়াছিলেন, আমাদিগের দ্বারা এ সমস্তু নিয়ম কখনই প্ৰতিপালিত হইতে পারে না। সত্য বটে যে, কোন ব্যবসায়ে উন্নতি লাভ করিতে হইলে তাহাতে মন প্ৰাণ অৰ্পণ করিতে হয়। সমস্ত শারীরিক ও মানসিক শক্তি সম্পূর্ণরূপে নিয়োগ না করিলে উন্নতিসাধনে কৃতকাৰ্য্য হওয়া অতীব কঠিন। তথাপি চেষ্টা ও মন থাকিলে স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম পালন করিয়াও ব্যবসায়ে উন্নতি লাভ করা যায়। এ বিষয়ে ইউরোপবাসীরাই উত্তম দৃষ্টান্তস্থল। তৃহারা সকল