পাতা:জীবনের ঝরাপাতা.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রত্যেক পরিবারের সঙ্গে এক এক ঘর মিরাসিরা সংযুক্ত। সমাগত অতিথিরা যখন খেতে বসেন তখন মিরাসিরা তাঁদের পূর্বপুরুষদের কীর্তিকলাপ গাইতে থাকে। শুনতে শুনতে গর্বে শ্রোতাদের বুক ফুলে ওঠে। যজমানদের সেই ‘অতীত গৌরব বাহিনী বাণী’ মিরাসিদের বংশপরম্পরাগত খাতায় ভরা আছে, অপলাপ হবার যো নেই, ভোলবার যো নেই। এখন তাদের সন্তানসন্ততি এত বেড়ে গেছে যে তাদের প্রত্যেকের প্রতিপালন যজমানদের দানে সঙ্কুলান হওয়া সম্ভব নয়, তাই এখন তারা পঞ্জাবের সর্বত্র চাকরি খুঁজে ছড়িয়ে পড়ছে। এখনও অনেক ঘর কিন্তু কঞ্জরূরে বসবাস করে। আমি সেখানে পৌঁছলে—‘গউহর’ বলে শ্বশুরকুলের মিরাসি আমার অভ্যর্থনার জন্যে এসে সম্মুখে দাঁড়িয়ে দত্তবংশের কীর্তিগাথা গাইতে লাগল। কোন স্ত্রীলোকের জন্যে এটা করা দস্তুর নয়—আমার বেলা সে নিয়মের ব্যতিক্রম হল। এই প্রথম কঞ্জরূরের চৌধুরাণী সেখানকার চৌধুরীদের সমতুল্য গণনীয় হল।

১৯৪