পাতা:জীবনের ঝরাপাতা.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অহংনিলয়ে ভেদভাবে করে
আপন পর যে জান,
আত্মা-আবাসে নিবাসিয়ে
তারে, রাখ সব ভূতগত প্রাণ!

গুরো!

আমার আমিরে দেখাও দেখাও!
করাও অভিজ্ঞান!
আনন্দ, অভয়, শক্তি, প্রেম
হউক নিত্য তব অবদান!”

 শেষ জীবন—মৃত্যু: ইহার পর মৃত্যুকাল পর্যন্ত, সরলা দেবী কায়মনে ধর্মচর্চায় মন দেন। তিনি ১৯৪১ সনে ‘শ্রীগুরু বিজয়কৃষ্ণ দেবশর্মানুষ্ঠিত শিবরাত্রি পূজা’ প্রকাশিত করেন। ‘বেদবাণী’ প্রথম খণ্ড হইতে এই মাত্র উদ্ধৃত করিয়াছি। তৎ-লিখিত গুরুর উপদেশাবলী একাদশ খণ্ড (পৌষ ১৩৫৭) পর্যন্ত বাহির হয়। ১৯৪৫ সনের ১৮ই আগস্ট এই বিরাট কর্মময় জীবনের অবসান ঘটে। এই কর্মময় জীবনের একটি বিশেষ দিকের প্রতি শিক্ষিত সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। ‘সাহিত্যিক’ সরলা দেবীর সাহিত্য-সাধনার নিদর্শন মাসিকপত্রের পৃষ্ঠায়ই আত্মগোপন করিয়া আছে। বিবিধ বিষয়ের উপরে লিখিত তদীয় সারগর্ভ রচনাবলী পুস্তকাকারে গ্রথিত হইলে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হইবে, একথা নিঃসন্দেহে বলিতে পারা যায়।

 সরলা দেবীর একমাত্র পুত্র শ্রীদীপক দত্তচৌধুরী বর্তমানে আইন ব্যবসায়ে লিপ্ত আছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মেও তাঁহার সবিশেষ অনুরাগ পরিদৃষ্ট হয়।

২০৬