পাতা:জীবন-স্মৃতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৩৪৮).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সন্ধ্যাসংগীত
২০৯

মধ্যেও তিনি আমাকে মুক্তি দিয়াছেন;—কোনো বিধিবিধানকে তিনি ভ্রুক্ষেপ করেন নাই এবং আমার সমস্ত চিত্ত বৃত্তিকে তিনি সংকোচমুক্ত করিয়া দিয়াছেন।


সন্ধ্যাসংগীত

 নিজের মধ্যে অবরুদ্ধ যে অবস্থার কথা পূর্বে লিখিয়াছি, মোহিতবাবু কতৃক সম্পাদিত আমার গ্রন্থাবলীতে সেই অবস্থার কবিতাগুলি “হৃদয়-অরণ্য” নামের দ্বারা নির্দিষ্ট হইয়াছে। প্রভাতসংগীতে “পুনর্মিলন” নামক কবিতায় আছে—

“হৃদয় নামেতে এক বিশাল অরণ্য আছে
দিশে দিশে না হক কিনারা,
তারি মাঝে হনু পথহারা।
সে বন আঁধারে ঢাকা, গাছের জটিল শাখা
সহস্র স্নেহের বাহু দিয়ে
আঁধার পালিছে বুকে নিয়ে।”

“হৃদয়-অরণ এই কবিতা হইতে গ্রহণ করা হইয়াছে।

 এইরূপে বাহিরের সঙ্গে যখন জীবনটার যোগ ছিল না, যখন নিজের হৃদয়েরই মধ্যে আবিষ্ট অবস্থায় ছিলাম, যখন