বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন বীমা।
১৯

পরিবেন, তাহা তিনি অকুতোভয়ে, কহিতে লাগিলেন। তিনি কারও কহিলেন, হরেকৃষ্ণ যে তাহার জীবন বীমা করিয়াছিল ও সেই জীবনবীমা যে তাঁহার নিকট বিক্রয় করিয়াছে, এ সম্বন্ধে ভুরি ভুরি অপর প্রমাণ থাকিলেও সেই সকল প্রমাণ বোধ হয় উপস্থিত করিবার প্রয়োজন হইবে না। কারণ যে যে অফিসে হরেকৃষ্ণ তাহার জীবন বীমা করিয়াছিল, সেই সেই অফিসের কর্মচারীগণ ও কর্মাধ্যক্ষ সাহেব সকল তাহার প্রমাণ দিতে পারিবেন। আবার যখন তাহার জীবন বীমা হয়, ও যখন সে জীবনবীমা বিক্রয় করে,—তখন সেই সকল অফিসের ভিতরেই তাহাদিগের সম্মুখে ও তাহাদিগের স্বাক্ষর অনুযায়ী হইয়াছিল, সুতরাং এ সম্বন্ধে কোনরূপ সন্দেহই হইতে পারে না। আর হরেকৃষ্ণ যে মরিয়া গিয়াছে, সে বিষয়েও কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। যে বাড়ীতে সে বাস করিত, পীড়িত অবস্থায় যে চিকিৎসক তাহার চিকিৎসা করিয়াছিল, যে চিকিৎসকের সম্মুখে সে মানবলীলা সরণ করে, হারা সকলেই এখনও বিদ্যমান। তাঁহারা দেশের মধ্যে গণ্য মান্য ও প্রসিদ্ধ লোক। তাহাদিগের খ্যাতি সহ বিদিত। তাহারা কোনরূপ মিথ্যা কহিবার লোক নহেন। তাঁহাদিগের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেই আপনার মনে আর কোনরূপ সন্দেহ থাকিবে না।

 ব্রজবন্ধুর কথা শুনিয়া আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “তাঁহাদিগের সহিত কোথায় ও কখন দেখা হইতে পারে?”

 ব্রজ। তাঁহারা সর্ব্ব পরিচিত লোক, ইচ্ছা করেন তো তাঁহাদিগের ঠিকানা আমার নিকট হইতে পারেন, ও আপনি তাঁহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সময় বিষয় অবগত হইতে পারেন।