অফিসে অনুসন্ধান করিয়া আমার অনুসন্ধানের প্রথম অংশ শেষ হইয়া গেল; বুঝিতে পারিলাম, ইহাতে কোনরূপ জুয়াচুরি নাই।
এখন আমি আমার অনুসন্ধানের দ্বিতীয় অংশে হস্তক্ষেপ করিলাম। উহা আর কিছুই নহে, হরেকৃষ্ণ নামে যে ব্যক্তি তাহার জীবন-বীমা করিয়া পরিশেষে ব্রজর নিকট ঐ জীবন-বীমা বিক্রয় করে, সেই ব্যক্তিই প্রকৃত মরিয়াছে কি না? আর যদি সে প্রকৃতই মরিয়া না থাকে—তাহা হইলে সে এখন কোথায় আছে?
আমার অনুসন্ধানের দ্বিতীয় অংশে হস্তক্ষেপ করিয়া প্রথমেই জানবাজারের যে বাড়ীতে হরেকৃষ্ণ বাস করিত, সেই বাড়ীতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। দেখিলাম, ঐ বাড়ীতে তালা বন্ধ ও উহাতে লেখা আছে যে, এই বাড়ী ভাড়া দেওয়া যাইবে। অনুসন্ধানে জানিতে পারিলাম, ঐ বাড়ীর সত্বাধিকারী একজন হাইকোর্টের উকিল, ঐ বাড়ীর সন্নিকটেই তাঁহার বাড়ী। তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি নিজে আমার জিজ্ঞাস্য বিষয় কিছুই বলিতে পারিলেন না। কহিলেন, তাঁহার সরকারের সহিত সাক্ষাৎ করিলে তিনি সমস্ত কথায় উত্তর দিতে সমর্থ হইবেন। সে দিবস তাহার সরকারের সহিত সাক্ষাৎ হইল না, কিন্তু পরিশেষে তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইলে জানিতে পারিলাম যে, হরেকৃষ্ণ নামক এক ব্যক্তি ছয় মাসের এগ্রিমেণ্ট লিখিয়া দিয়া-ঐ বাড়ী ভাড়া লইয়াছিলেন, পরে ব্রজবন্ধু নামক এক ব্যক্তি কখন কখনও ঐ বাড়ীতে হরেকৃষ্ণের নিকট আসিত, ইহাও তিনি দেখিয়াছেন। তিনি শুনিয়াছিলেন, হরেকৃষ্ণ ঐ বাড়ীতে পীড়িত হন, ডাক্তার আসিয়া তাহার চিকিৎসা করেন ও পরিশেষে ব্রজন্ধু তাহাকে ঐ বাড়ী হইতে