পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

ব্রজবন্ধু ঐ টাকা পাইবার নিমিত্ত অমাদিগের অফিসে আবেদন করিয়াছে ও সার্টিফিকেট প্রভৃতির যাহা কিছু আবশ্যক, তাহাও দিয়াছে; আমরাও তাহাকে ঐ টাকা প্রদান করিতে এক রূপ সম্মতও হইয়াছিলাম; কিন্তু এখন এরূপ প্রকাশ যে, ব্রজবন্ধু জুয়াচুরি করিয়া ঐ টাকা গুলি হস্তগত করিবার চেষ্টায় আছে। আরও শুনিতে পাইতেছি যে, আমাদিগের বীমা অফিসের ন্যায় আরও কয়েক টী বীমা অফিসেও ঐ হরেকৃষ্ণ তাহার জীবন বীমা করিয়াছিল। ব্রজবন্ধু ঐ সকল অফিস হইতেও অনেক টাকা আদায় করিয়া লইবার চেষ্টায় ছিল। এই সকল কারণে আমি আপনার সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি। আপনি একজন উপযুক্ত ও বিশ্বাসী কর্ম্মচারীর দ্বারা এই বিষয়ের অনুসন্ধান করিয়া দেখুন যে, ব্রজবন্ধু ঐ সকল টাকা প্রাপ্ত হইবার প্রকৃত পাত্র, কি সে প্রকৃতই জুয়াচুরি করিয়া ঐ সকল অর্থ হস্তগত করিতে বিশেষ চেষ্টা করিতেছে। আপনার কর্ম্মচারীর অনু- সন্ধানের উপর নির্ভর করিয়া আমরা কার্য করিব, জর্থাৎ তাহার অনুসন্ধানে যদি সাব্যস্ত হয় যে, ব্রজবন্ধু অসৎ উপায় অবলম্বন করিয়া আমাদিগের নিকট হইতে ঐ টাকা আদায় করিবার চেষ্টা করিতেছে, তাহা হইলে আমরা তাহার উপর ফৌজদারী মােকদ্দমা চালাইয়া যাহাতে ঐরূপ জুয়াচোর বিশেষ দণ্ডে দণ্ডিত হয়, সাধ্যমতে তাহার চেষ্টা করি। আর অনুসন্ধানে যদি ইহাই সাব্যস্ত হয় যে, ব্রজবন্ধু বিধান অনু- সারে ঐ টাকা প্রাপ্ত হইবার প্রকৃত অধিকারী, তাহা হইলে তদণ্ডেই আমরা তাহাকে সমস্ত অর্থ এককালীন প্রদান করিব।”

 প্ত্রখানি পাঠ করিয়া সর্ব্বপ্রথমেই ঐ পত্র-লেখকের সহিত