পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] জীবগণ তেজঃ, মরুং প্রভৃতির আশ্রয় হওয়াতে ক্ষিতি ও অপেরও আশ্রয় বা বিকার, তাহা বলা বাহুল্য । এক্ষণে সন্দেহ হইতে পারে, যখন ক্ষিতি, অপ, তেজঃ, মরুৎ, বোম এই পঞ্চভূতময় দেহ, নিশ্বাস-প্রশ্বাস-বায়ু-দ্বারা আমরা জীবন-ধারণ করিতেছি ;–এবং মৃত্যু হইলে লোকে বলে, “প্রাণ বায়ু বহির্গত হইয়াছে”—তখন এই পঞ্চভূতের মধ্যে বায় জীবন না হইয়া তেজঃ, কিরূপে জীবন হইতে পারে ? উত্তর,— বায়ু ও আকাশ একমাত্র-সেীর-তেজ-দ্বারা প্রকাশিত হইয়া নিজ নিজ কাৰ্য্য করিতেছে। তেজ-দ্বারা অনুপ্রাণিত না হইলে বায়ু ও আকাশ স্ব স্ব কাৰ্য্য সম্পাদনে অক্ষম হইত। যেরূপ বাহিরে আকাশে সূর্য্যের উদয়ে জগং প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়াই আমরা তাহার আলোকে জ্ঞানলাভ করিয়া বায়ু ও আকাশ প্রভৃতি পদার্থসকল অনুভব করিতে পারিতেছি, সেইরূপ দেহমধ্যে অব্যক্ত সাঙ্গ বা পুণ সৌরতেজ দ্বার। ( প্রকাশময় সত্ত্বগুণ দ্বারা ) অন্ত প্রাণিত বা শক্তিমান হইয়া মরুৎ ও আকাশ নিজ নিজ কাৰ্য্য করিতে পারিতেছে। তেজের অন্ত প্রাণনা বিনা এ হুট কাৰ্য্য করিতে অক্ষম হইত। আমরা ও ইহাদের কার্য্য অনুভব করিতে পারিতাম না । আমরা পার্থিব জীব যখন সৰ্ব্বদা বায়ু-মণ্ডলের মধ্যে বাস করি, মানুষ মরিয়া গেলে ইন্দ্রিয়দ্বারাদিতে তখনও তাকাশ বর্তমান থাকে, এবং যেখানে আকাশ, সেখানে অব্যক্তভাবে বায়ু নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু বায়ু তখন থাকিলেও তেজোরূপ জীবন নিৰ্বলাপিত হওয়ায় মৃত-ব্যক্তি তার নিশ্বাস প্রশ্বাস