পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ] লষ্টতে পারে না। তাই এই পঞ্চভূতের মধ্যে তেজের প্রাধান্তবশতঃ তেজষ্ট জীবন। তমোগুণময় আকাশে বিরাজমান হইয়া তেজঃ সৰ্ব্বত্র প্রাধান্ত করিতেছে। যেরূপ সসৈন্য সেনাপতি সমরে বিজয়ী হইলেও, “অমুক রাজা বিজয়ী হইলেন” লোকে বলে, সেরূপ বায়ু নিশ্বাস-প্রশ্বাসরূপে আকাশ বায়ুর আধাররূপে কাৰ্য্য করিলেও, তেজের প্রাধান্তবশতঃ তেজকে জীবন বলা হইল। আকাশ ও বায়ু তেজোরূপ জীবনের সহকারী মাত্র । Nව পদার্থবিদ-বরেণ্য ভরামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী তাহার লিখিত জিজ্ঞাসা’ পুস্তকে ১৫১ পৃষ্ঠায় “এক না দুই প্রবন্ধে লিখিয়াছেন “মনুষ্যের শরীর জড়পদার্থ সন্দেহ নাই । কিন্তু মনুষ্যের শরীর জীবন্ত-পদার্থ। জীবন কি ?—নানাবিধ গতির সমষ্টিমাত্র। জড়বাদী একপদার্থ ভিন্ন দুই-পদাৰ্থ মানে না । একমাত্র জড় জগৎ, গতি জড়ের ধৰ্ম্ম । গতির বিভিন্ন মূৰ্ত্তি । কখন স্রোত, কখন ঢেউ, কখন ঘূণী ! গতির বিভিন্ন-মূৰ্ত্তি অনুসারে তাড়িতক্রিয়া চৌম্বকক্রিয়া, আলোকক্রিয় রাসায়নিকক্রিয়। জৈবক্রিয়া প্রকাশ পাইতেছে। জীবন নানাবিধ গতির সমষ্টিমাত্র, জীবনে গতির ব্যাপার জটিল বা দুৰ্ব্বোধ।