পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 58 | আমরা কোন গতিই বুঝিতে পারি না। আতা মাটীতে পড়ে,—কেন পড়ে ? অম্লজান-কণিকা উদজান-কণিকার প্রতি পাবিত হয়,--কেন হয় ? তাঙ্গার-কণিকা ও উদজান-কণিকা আর পাচট কণিকার সহিত যুক্ত হইয়া বিচিত্র জীবনক্রিয়ার উৎপাদন করে,—ইহা অধিক আশ্চর্য্য হইল কিসে ? ইহার উত্তর দেওয়া কঠিন।” অতবড় বৈজ্ঞানিক ইহার উত্তর দিতে কল্পিত হইয়াছেন । ইহার একমাত্র উত্তর, যিনি এই জড়-জগতে যাবতীয় গতি বা শক্তির কারণ, সেই সাঙ্গসৌরতেজ-প্রভাবে ঐ সকল পদাথ মিলিত হইয়। জীবনউৎপাদন করিতেছে ! সৌরতেজের প্রেরণ বা প্রভাব ন৷ থাকিলে এগুলি মিলিত হইতে পারিত না । মিলিত না হইলে জড়দেহে চেতনাময় জীবন আবিভূত হইত না । নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কারবন, হাইড্রোজেন প্রভূতি বাম্পের উৎপাদক সূর্য নিজ তেজে ও স্বতেজ হইতে উৎপন্ন অঙ্গতেজ বা ইলেক্ট্রনের বলে বা তরঙ্গে উক্ত পদাৰ্থ সকল মিলিত করিয়া জড়জীবদেহে জীবন-সঞ্চার করিয়াছেন। এবং কেবল জীবন দিয়াই সূর্য্য নিশ্চিন্ত নহেন। নিজ তেজ-আলোক ও বিবিধ-কিরণ-দ্বারা জীবগণকে জীবিত রাখিয়া জীবের পীড়াদি উপশম করিয়া তাহাদিগকে রক্ষা করিতেছেন। কেবল রক্ষা কেন, স্বতেজে বিছাতের উপাদান ইলেকট্রন স্মৃষ্টি করিয়া জীবনের শক্তি বদ্ধনপূর্বক বাৰ্ত্তাবহাদি-যন্ত্রের প্রয়োজক হইয়া আমাদিগকে সর্ববতোভাবে সুখী করিতেছেন। প্রাচীন পণ্ডিত-দিগের মতে সূর্য্যের সাত বর্ণের সাতটী