পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিত, তাহার অন্তরাত্মা জানিত বলিয়াই প্রকৃতি দ্বারা পরিচালিত হইয়া সে ঐরুপ বলিয়াছিল। আমরা কেহষ্ট তাহার কথা শুনি নাই, তাই তুর্ভাগ্যবশতঃ তাহাকে অকালে হারাষ্টয়াছিলাম । এই পুথিবীতে যেখানে আকাশ বা ঈথর সেই খানেই বায় এবং সেই স্থানেই বিদ্যুতের কারণ ইলেক্ট্রন আছে। ইলেক্ট্রনগুলি স্বৰ্য্যতেজ হইতে উৎপন্ন হইয়া সর্ণবদা পুথিবীর সন্নিহিত বহিঃস্থ বা দেহ-মধ্যস্থিত সকল আকাশে অব্যক্তভাবে বিরাজমান থাকিয়া জীবনী-শক্তি বুদ্ধি করিতেছে। ইলেক্‌ট্ৰন আকাশে অবাক্তভাবে থাকে বলিয়া আমরা অতি অনায়াসে সামান্ত্য উপায়ে বিদ্যুৎ বাতির করিতে পারি। বিদ্যুৎ-শক্তির সাহায্য ভিন্ন কোন জীবষ্ট উৎপন্ন হইতে পারিতন, ষ্টত। অনেকেই জানেন । দুইটী পদার্থ ঘর্ষণ কবিলেই বিদ্যুৎ বাহির হয়। আমরা যখন কিছুক্ষণ তুষ্টহস্ত ঘর্ষণ করি, তৎক্ষণাৎ আবিষ্কৃত বিদ্যুৎশক্তিতে হস্ততল উত্তপ্ত হয়। চোখে পোকামাকড় পড়িলে বা কোনও কারণে চোখে যন্ত্রণা হইলে আমর সেই তপ্ত হস্ত চোখে দিয়া সুস্থ হই । সৌর-তেজং-সম্ভত বিদ্যাৎ জীব-স্তষ্টির নিদান ইন্স অনুভব-সিদ্ধ। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে যে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কারবন হাইড্রোজেন প্রভৃতি বাম্পের উৎপাদক স্বৰ্য্য। ঐ সকল বাষ্প বহিঃস্থ ও দেহস্থিত সকল অংশেই সৰ্ব্বদা বৰ্ত্তমান আছে। সূৰ্য্যতেজে গতিশক্তিশালী ইলেক্ট্রনগুলির তরঙ্গের পরিচালনায় ঐ গ্যাসগুলি মিলিত হইয়। জীবনীশক্তি সম্পাদন করিতেছে ।