পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৭ ] বসিয়া শোনা যায়। এ সকলই কোথায়ও ব্যোমের কোথায়ও বা সৌরতেজের তরঙ্গের কার্য্য বুঝিতে হবে। রঞ্জন-রশ্মি (X-Ray) ও আলট্রাভায়োলেট সূর্য্যের অন্যতম কিরণ এবং ইলেকট্রণ ও স্বর্য্যতেজঃসস্তুত। সুতরাং বিছাতের সহিত এই ছক্টটর ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকায় পরস্পর মিলিত হইয়া এষ্ট তুষ্টট কিরণ অনেক দুশ্চিকিৎস্য রোগের উপশমের কারণ হয়। শীতপ্রধান স্থানে মুম্ষু বৃক্ষ লতা সকল বিছাতের তাপে জীবিত হইয়া পল্লব-ফল-পুষ্প ধারণ করে ইহা দেখা যায় ! এসংসারে সকল বিচিত্ৰ কাৰ্য্যই সৌর তেজঃ বিদ্যুৎ ও ব্যোম দ্বার সম্পাদিত হইতেছে । এক্ষণে প্রমাণিত হইল যে বিদ্যুৎ-সহকারী সৌরতেজষ্ট জীবন। বিছাতের সাহায্যে অব্যক্ত সৌরতেজঃ দেহাকাশমধ্যে যে সকল কাৰ্য্য করে, তাহাতেই আমরা শক্তিমান হইয়া জীবিত আছি। বেদান্তে যে তৈজস আত্মার উল্লেখ আছে, উহা বিদ্যাৎ-সহকারী সৌরতেজঃ । দেবতা পূজাপদ্ধতির পুরোহিত দর্পণে লেখা আছে যে পুজক প্রাতঃস্বৰ্য্যত্বলা সর্বত্র ব্যাপ্ত দেবতাকে সোহহং চিন্তা করিয়া মূলাধার হইতে ব্ৰহ্মরন্ধ পৰ্য্যন্ত বিছাদাভা কুণ্ডলিনী শক্তির ভাবনাপূর্বক পুষ্প লষ্টয়া ধ্যান করিবে । বিদ্যাদাভা কুণ্ডলিনী-শক্তির চিন্তাদ্বারা দেহস্থ সৌরতেজ ও বিদ্যুৎরূপ জীবন লক্ষিত হইয়াছে। সাঙ্গ-সেীরতেজোরূপ জীবন ও দেবতার জীবন অর্থাৎ জীবাত্মা ও পরমাত্মা এক ভাবিয়া দেবতার ধ্যান করিতে হয় ।