পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুধু যে হিন্দুৱা আক্রমণ করতে পারে তা নয়, তার চেয়ে বেশি ভয় কারখানার চামারদের হানা দেবার। তারা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট, তাদের মধ্যে দারুণ বিক্ষোভ, তারা প্ৰায় ক্ষেপে আছে। ক্ষেপাচ্ছে ভুবন, সামনে রেখেছে বিশ্বম্ভর নাথাকে। ওই বিশুকে ?-ভৈরব হাসে। জোর চালিয়েছে মোশা। ফুলিশ বটে লোকটা, একদম গাধাক মাফিক ফুলিশ, বাট তাগাদ আছে। শ” পাচেক দিয়ে দিন, ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। পাচ শো কেন আরও বেশি দিতে মহম্মদ আলি রাজী, কিন্তু ডেকে পাঠালেও এবার বিশ্বম্ভর আসে নি। গতবার আর একটা হাঙ্গামার সময় ডেকে পাঠানো মাত্র বিশ্বম্ভর হাজির হয়েছিল, অল্পেই মিটে গিয়েছিল হাঙ্গামা । এবার তার কি হয়েছে কে জানে ! 蟾 डूबन qबांद्र 6*छन अछि । झैं, ठेिक । ভৈরব পুলিস প্রোটেকশনের কথা উল্লেখ করতে কানপুরের মহম্মদ আলি আবদুরি মুখ বাঁকিয়ে ঘরেই খুক করে থুতু ফেলতে গিয়ে সামলে নিয়ে উঠে জানােলা দিয়ে বাইরে থুতু ফেলে আসে। শালা পুলিসক বাত বোলবেন না মোশা ! মহম্মদ আলি চিঠি পাঠিয়েছিল। সকাল এগারটা নাগাদ । কোন সাড়া শব্দ মেলে নি। না আসে জবাব, না আসে পুলিশ। বেলা তিনটেয় এল-লিটন মেমোরিয়েল ফাণ্ডের চাদার খাতা, পাচ হাজারের অঙ্কপাত করা আছে, রসিদও কাটা আছে, সম্পাদক কার্লটনের নামে। এ শহরের পুরানো শহীদ ম্যাজিষ্ট্রেট লিটনের নামে বিরাট ময়দানটির নামকরণ করা হয়েছিল, সেখানে লিটন টাউনের পত্তন হয়েছিল, তাই যথেষ্ট মনে করা হয়েছিল তখন। আবার নতুন করে সাদা সরকারী কৰ্ম্মচারীর ওপর সম্রাসবাদীদের হানা শুরু হওয়ার পর শহরের বুকে বিরাট সুদৃশ্য এক স্মৃতিসৌধ স্থাপনের জিদ জেগেছে নতুন করে-বিশেষভাবে কার্লটনের। SVO