পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WS S নাই-বা দিল একসঙ্গে প্ৰাণ ? প্ৰাণ দেওয়াটাই আসল কথা । প্ৰতিমা মৃদুঘরে বলে। বলে অমিতাভকে, সে বোঝাপড়া করতে এলে, তাকে চা আর পাপড় দিয়ে। এমনি অভ্যাস হয়েছে তাদের, প্রতিমারও। আলোচনা তাদের দুজনের। ব্যক্তিগত, প্ৰণয়গত ও আদর্শগত সাংঘাতিক পরিস্থিতি নিয়ে, কিন্তু কথা শুরু হয়। প্ৰাণোৎসর্গের মধ্যেও অনৈক্যের সমস্যা নিয়ে। গুপ্ত কথা বাদ দিয়ে সাধারণভাবে প্ৰতিমাকে অনেক কথা শুনিয়ে এসেছে অমিতাভ । শোনার আগ্ৰহ প্ৰতিমার দিন দিন বাড়ছিল । তবে, আজ অবশ্য অমিতাভ একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে দিল সমস্যাটা, তার ও প্রতিমার সমস্যাটা, আগাগোড়া খোলাখুলি স্পষ্ট করে তুলতে চেয়ে। তা আসলে তার প্রাণটাকে পণ করাটাই তো আসল সমস্যা। নইলে আর ভাবনা কি ছিল! তাপ কিছু কম নয়, পুড়িয়ে দিচ্ছে দুজনকেই। ব্যবহারিক, পারিবারিক বা সামাজিক প্ৰতিবন্ধক কিছু নেই, উদ্যত ব্যগ্ৰ आौदा !-द6भांदन टदिभ्रं, नक्षरठ । ইতিমধ্যে আরও টের পাওয়া গেছে প্ৰতিমার দুর্নামের বহর। শহরে যেন একটা অবৈধ-প্ৰেম-বিরোধী আন্দোলনই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়ের সঙ্গে, ঘরে বাইরে পথে ঘাটে জিহবায় জিহবায় ছি। ছি উচ্চারণ, আপসোস আর নোংরা টিটকারি। এ শহরের সুপবিত্র ভদ্রসমাজের ইতিহাসে আর যেন ঘটে নি বিয়ের বয়সী সোমখ ছেলে-মেয়ের কেলেঙ্কারি। এই প্ৰথম ঘটল-সৃষ্টিতে অনাছিষ্টির মত, চলতি জীবনে বিপ্লবের মত, সমাজ সংসার ধ্বংস করে পৃথিবী ওলোট-পালোট করে দেবার মত ভীষণ কাণ্ড! বোঝা: যায়, প্রচণ্ড প্রচার চলেছে, প্রচুর অধ্যবসায়ের সঙ্গে, পেছনে আছে সঙ্ঘবদ্ধ S 8V