পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিংবা তার ক্সিপের জোরে লাইব্রেরি থেকে সে একেবারে পঞ্চাশ-যাটখানা বিশেষ বই দাবি করে বসবে। মামার সঙ্গে এ ছলনাটুকু সে করেছিল । রাখালের সঙ্গে ঝগড়ার কথা, নিজের আসল মতলবের কথা গোপন রেখে সরল ভাবে চিটুটা চেয়ে নিয়েছিল। প্ৰকাশ্য সভায় এটা মেনে নিতেও রাজি ছিল প্ৰকাশ। কিন্তু সে যা করেছে, করেছে তার নিজের মামার সঙ্গে, মামাকে যদি সে ঠকিয়ে থাকে তাই নিয়ে বোঝা-পড়া হবে মামার সঙ্গে তার, এর সঙ্গে অন্যের তো কোন সংস্রব নেই। রাখাল কোন সাহসে কি যুক্তিতে স্লিপ দেখেও বইগুলি তাকে দিতে অস্বীকার করবে, মামা তার ক্লাব। আর লাইব্রেরির প্রেসিডেণ্ট ? ভৈরবের চিটু নিয়ে এলেও ভুবনবাবু এবং আরও কয়েকজন কোন আইনে রাখালের পক্ষ নিয়ে তাকে ধমকাতে আসবে ? বার বার সে জোর দিয়েছিল। এই কথাটাতে। রাগে। কঁাপিতে কঁাপিতেও ধীর শান্ত ভদ্রভাবে সকলকে সে বলেছিল, প্রেসিডেন্টের লিখিত অনুমতি সে নিয়ে এসেছে, লাইব্রেরি থেকে যে বই খুশি, যতগুলি বই খুশি নিয়ে যাবার অধিকার তার আছে। তার সঙ্গে তর্ক না করে পরে যেন তারা তার মামার সঙ্গে বোঝাপড়া করে। এরি মাঝে বলা নেই কওয়া নেই রাখাল তাকে দিয়েছিল ধাক্কা। তখন সে মেরেছিল রাখালকে। ভুবনদের সামনেই মেরেছিল। বাড়িতে আলোচনার সময় অনন্ত বলেছিল, ওরা বলবে তুমি আগে রাখালের গায়ে হাত তুলেছিলে, জোর ক’রে আলমারি ভেঙ্গে বই নিতে গিয়েছিলে । 温 আমার বন্ধুরা ছিল, তারা দেখেছেअनरुठ धांg cनggछिल । তা ঠিক। পাকা তা জানে, মানেও। তার বন্ধুদের, বিশেষ ক’রে কানাই তিনু পাচু নরেশদের কথার বিশেষ দাম কেউ দেবে না। এটুকু না বুঝবার মত বোকা সে নয়। হাঙ্গামা করার জন্য, রাখালকে মারার জন্য সে যে সত্যি সত্যি বন্ধু চারটিকে সঙ্গে নিয়ে যায় নি, এরা শুধু বইগুলি বয়ে আনার জন্য সঙ্গে গিয়েছিল, কেউ যে ওরা একটি কথাও বলে নি আগাগোড়া, রাখালকে মারার So