পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৈামবাল মিশিয়ে কালীপূজার রাত্রে ফাটাবার যে পটকা বানাবার বারুদ ছোট ছেলেরাও তৈরি করতে জানে, সেই বারুদে তৈরি দু’সের আড়াই সেরা ওজনের দেশী বোমায়। সরু পাটের দড়ি পেচিয়ে পেচিয়ে জড়ানো বস্তুটি দেখে কারো কল্পনা করার সাধ্য ছিল না সেটা বোমা হওয়া সম্ভব, জগতে যখন ডিম্বাকৃতি ছোট কালো প্ৰচণ্ড বোমার আবিষ্কারও পুরানো হয়ে গেছে। D BD BBDB DBDD DDBB BD DDu DBBBDD S LBB BDBDBD ছোকরাটিও অবশ্য ওই বোমাতেই আহত হয়ে জেল-হাসপাতালে অনেক দিন ছটফটিয়ে বেঁচে উঠে তারপর ফাঁসি গেছে। কিন্তু অত অল্পে কি শোধ হয় লিটন সাহেবের মৃত্যুঋণ ! ধরপাকড়, জেল, বিনা বিচারে আটক, নিৰ্য্যাতন, এ সবেও নয়। সেই কৰ্ত্তব্যপরায়ণ ভারত-প্ৰেমিক ম্যাজিষ্ট্রেটের স্মৃতিকে সম্মান দেখাতে হয়েছে। কালো শহরবাসীদের। শহরের সেরা আধুনিক অংশকে লিটনের চিরস্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করে পরবর্তী ম্যাজিষ্ট্রেট ব্যাণ্ডেল সন্তুষ্ট হয়েছিল। কিন্তু কার্লটনের মন ভরে নি। বিশেষত সারা দেশে, আর এই শহরে যখন আবার গোপন ষড়যন্ত্র ভয়ানকভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে অসহ স্পৰ্দ্ধায় ! শহরের লোক তো লজ্জা দুঃখ ভয়ে কাতর হয়ে ক্ষমা ভিক্ষার তাগিদে স্বেচ্ছায় লিটন টাউনের নামকরণ করে নি, ও নাম চালু হয়েছে ব্যাণ্ডেলের প্রতিপূর্ণ কঠোর বেসরকারী এবং স্বীকৃত সরকারী ভাষারই ঘোষণাতে । ও রকম সরকারী ভাবে নয়, বেসরকারী দেশী ভাবে দেশী লোকের উদ্যোগে দেশী লোকের চাদায় লিটনের জমকালো স্মৃতিরক্ষার জিদ কার্লটনের। শহরবাসীর অনুতাপের, প্ৰায়শ্চিত্তের, রাজদ্রোহীদের প্রতি তিরস্কারের রূপধরা প্রতীকের মত সে স্মৃতিসৌধ চিরদিন শহরের বুকে বিরাজ করবে। তাই, লিটন মেমোরিয়েল ফণ্ডের যে কমিটি তা খাটি বেসরকারী, প্রেসিডেণ্ট থেকে সভ্যোরা সকলে নেটিভ, বেসরকারী নেটিভ। কার্লটন নিজে সাধারণ সভ্য পৰ্য্যন্ত নয়। সে কমিটির। তবে দুঃখের বিষয় কোন দেশী ব্যক্তি স্বেচ্ছায় যেচে এক পয়সা চাদা দেয় নি। ফণ্ডে, ত্ৰিশ হাজার টাকা যে উঠেছে তার প্ৰত্যেকটি পাই কার্লটনের খাতিরে দেওয়া। কার্লটন তা জানে, জেনে সে LD DD S K0 DO DBDBSgL BDBDB BgBBDS gL BLD DS S. G8