পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুচ ঢুকতে থাকলে জগৎটা বিদীর্ণ হয়ে যেতে চায়, কিন্তু যায় না। ক্ষুদ্র গোপন অঙ্গটি পিষ্ট হলেও তাই। চেতনার সীমায় তোলা যাতনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, সেই অনুভূতির জগতে সৰ্ব্বাঙ্গ একাকার। এই অসহ অদ্ভুত জগতের সঙ্গে সে রাত্রির ঘনিষ্ঠতা ছাড়া, শুধু ওরকম নিবিড় ঘনিষ্ঠতা ছাড়া যে জগতের কোন মানে মানুষের কাছে থাকে না, চেতনাকে কোন দিন পাকা MDBD BDBDDBDBD BBB BBB D BB DDD DBBD BDD BDD DDD থাকত চিরদিন, মনের জোরে মানুষের যন্ত্রণ জয় করাকে একটা দুটো মানুষের খেলো নাটুকে বাহাদুরি বলেই জেনে রাখত। মনের জোর যেন দু-চারজন মানুষের একার সম্পত্তি, কোটি কোটি দুর্বল মনের ব্যতিক্ৰম, যন্ত্রণার সঙ্গে যুদ্ধে মানুষ হার মানবে এই নিয়মের অনিয়ম। যন্ত্রণাকে জয় করাই স্বভাব মানুষের, তার চেতনাটাই যন্ত্রণার সঙ্গে পাল্লা দেবার মত ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে স্তরে স্তরে তীব্ৰ তীক্ষ্ম হয়ে উঠতে থাকে চেতনাও, আয়ত্তে রেখে রেখে ব্যথাতেই কেন্দ্রীভূত হতে থাকে। ছড়ানো জগৎ থেকে সরে এসে এসে, যন্ত্রণাহীন অকাতর বলে জগৎ থাকে না, জীবন থাকে না, কিছুই থাকে না। যন্ত্রণাই অস্তিত্ব, যন্ত্রণাই সব। যন্ত্রণার যত উন্মত্ত আক্রমণ, সেই আক্রমণেই তত ভেঁাতা। হয়ে যায় যন্ত্রণাবোধ। একটা সীমার পর চেতনা নিজেকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। भcन शब्रिध्र भिgथJ श्ध्र प्रांघ्र प्रक्षक्षी । ভয়ানক বলে কোন ব্যথা নেই, যন্ত্রণ নেই। কোন মানুষ কোন দিন ভীষণ কষ্ট পায় নি, পাবে না। ভয়ানক শুধু ভয়টা। যন্ত্রণা পাবার আগে মিথ্যা কল্পনার মিথ্যা যন্ত্রণা। যন্ত্রণার শেষ কথা মরণ। শুধু ভয়ের ফাকিতে যন্ত্রণা আর মরণ মানুষকে কাবু করে রেখেছে। ভয় মানুষের তৈরি, স্বার্থপর মানুষের। ঘুমোতে না চাইলে পাকার মা পৰ্য্যন্ত পাকাকে ভয় দেখাত। মারি কি ভয় ছিল না যে ঘুমিয়ে অসুখ করে পাকা মরে গেলে আদর করার সোহাগ করার বুকে করে মেতে থাকার কেউ থাকবে না? পুতুল হারানোর ভয়ে মাও যদি ছেলের জন্য ভয় স্বষ্টি করে, কানাকড়ি হারানোর ভয়ে মানুষ কেন পরের জন্য ভয় সৃষ্টি করবে না ? হঠাৎ একদিন চরম দৈহিক যন্ত্রণা ভোগ করে পাক বীরত্বের মৰ্ম্ম বুঝেছে, (א-קמ