পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগ্যিস তুই ঘুযোস নি ঘেটু! আহা, আমি যেন হুকুরে কত ঘুমোই! নিষিদ্ধ দ্রব্যের প্যাকেটটি কানাই তার হাতে দেয়। পাংশু মুখে কড়া চোখে তাকায় ঘেটু। ফের তুমি এসব করছি ? এত তোমার পয়সার খাকতি । নে নে হয়েছে। নিজের ভাগটি তো ঠিক বুঝে নাও ! আচ্ছ, সত্যি এতে কি আছে কানাইদা ? চুপি চুপি একদিন খুলে দেখতে হবে । ঘেটু ফিক করে হাসে। কানাই। উদাসভাবে বলে, দেখিস। একটি সুতোর গিট দু’বার লাগানো হলে ওরা টের পেয়ে যায়। লুকিয়ে এসব ব্যবসা যারা করে এমনি তারা ভালমানুষ, পিছনে লাগতে গেলে মজা টের পাইয়ে দেবে। এখান থেকে জিনিসটা একটু ওখানে পৌছে দেবার জন্যে এমনি কেউ অতগুলি টাকা দেয় ? আপিম-টাপিম হবে বােধ হয়, এ্যা ? তুমি নিশ্চয় আমায় ঠকও কানাইদা, कध छेक ग्रां& । যা পাই তার আদেক দি’ । আমি দশ টাকা পেলে তোকে পাচ টাকা দি’। যা এখন, লুকিয়ে ফেলবি যা। ভোরে স্কুলে যাবার পথে ঘেটুর কাছ থেকে প্রতিমা জিনিসটা নেয়। আপনি কত পান ? 6ड्भ दलद 6कन ? যথাসময়ে তন্ন-তন্ন করে। সার্চ করা হয়। কানাই-এর দোকান আর ঘর-বাড়ী । তারপরেই ঘরবন্দীর হুকুম জারি হয়। তবে কানাই-এর সঙ্গে যে-কেউ দেখা করতে আসতে পারে, তাতে কোন নিষেধ নেই। কানাই বাইরে যাদের সঙ্গে যোগ রাখত, তারা কেউ যদি কানাই-এর সঙ্গে যোগ রাখতে আসে। কখনো, এই আশা । একবারে বুঝি শিক্ষা হয় নি?-কানাই বলে পাচুকে, বন্ধুকে পেয়ে সে খুশি হয়েছে বোঝা যায়। ঘরে বন্ধ হয়ে থাকতে থাকতে দিম আটকে à QQ