পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি তিন দিন যাও নি প্ৰকাশ, এই ব্যাপারের জন্য কি ? একটু ইতস্তত করে পাকা । ঠিক তা নয়, ভোরে ঘুম ভাঙ্গে নি। ঘুম ভাঙ্গে নি! এ তো চলবে না পাকা। আমার ক্লাবের ছেলে তুমি, ভোরে তোমার ঘুম ভাঙ্গে না ! কাল আসবে ? কাল ? কাল নয় কালীদা, পরশু। আচ্ছা। কিন্তু তোমার মনে আছে তো এটা তোমার ফাস্টার্স স্টেজের BB BDB S DD BB BDB D DD SS SBBB D DD BDD DS দু’পা এগিয়ে মুখ ফিরিয়ে কালীনাথ বলে যায়, তোমায় একটা খবর দি। রাখালের বেশি লাগে নি। হাসপাতালে যাওয়ার কোন দরকার ছিল না ।” কানাই বলে, আমারও সন্দা ছিল। ভুবনটা কম ঝানু! পাচু বলে, কি ব্যাপার, মাইরি! মোটে লাগে নি রাখালের ? হি হি করে পাচু হাসে, পাকা মোদের বক্সিং শিখছেন, এক ঘুষিতে রাখাল কুপোকাৎ ! তাই তো বলি ! তোকে একটা মারব ? মার। মাইরি মার। সামনে বেঁকে পাচু দাড়ায়, বলে, গাঁটের ব্যথা কমেছে? ছাল ওঠে নি তো রাখালকে মেরে ? আহা। ষাট ! পাচু গায়ের ছেলে, তার বাবা ধনদাস চার ক্রোশ দূরের আটুলিগার গোরস্ত চাষী। পাচু এখানে আত্মীয়ের বাড়ীতে থেকে স্কুলে পড়ে। এমনি পাচুর চালচলনে গেয়ে ছাপ আছে, হাবাগোবাই মনে হয় তাকে । কিন্তু পাকাকে খোচা দেবার ব্যঙ্গ করবার সুযোগ পেলেই কী স্মার্ট যে সে হয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে ! শহুরে বন্ধু ক’টিকেও যেন ছাড়িয়ে যায়। তিনু বলে, ভুবনটাকে একদিন দিলে হয় না। ক্লাব থেকে ফেরার পথে ? কানাই বলে, ধোৎ ! কানাই লম্বা, কালো, রোগা । কম কথা কয়। ফাস্ট ক্লাসে পড়ে, গতবার ইচ্ছা করে ম্যাট্রিক দেয় নি। কারণ কেউ জানে Sct