পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসছিল। কেউ বড় একটা আসে না। এ বাড়ীতে, আত্মীয়স্বজনও একরকম বর্জন করেছে। দোকানে কাজকৰ্ম্ম নেই, ভয়ে কেউ সাইকেল সারাতে আসে না, রসিক একলাটি চুপচাপ দোকানে বসে থাকে। পাচুর সঙ্গে এবার কানাই আশ্চৰ্য্যরকম খোলাখুলি ভাবে কথা বলে। ঘেটুর মারফৎ পিস্তল দুটি সরানোর গল্পও সে-ই নিজে থেকে পাচুকে শোনায়। গতবার তাকে যে থানা হয়ে গাঁয়ে ফিরতে হয়েছিল এ খবর কানাইকে কে দিল পাচু প্ৰথমে ভেবে পায় নি, দেখা যায় শ্যামলের কাছে তার ঘনঘন যাতায়াতের খবরও কানাই জানে। বন্ধুর প্রতি তার ভালবাসার সঙ্গে একটা অদ্ভুত রোমাঞ্চকর শ্রদ্ধাভক্তির ভাব এসে মেশে। বিপ্লবীদের মধ্যে বন্ধুর যে তার এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে তাতে পাচুর বিশেষ গৰ্ব্ব খর্ব হয়। কানাই-এর আত্মবিশ্বাস, সাহস, শক্তি আর শান্তভাব তাকে মুগ্ধ অভিভূত করে রাখে। কানাই ভণিত করে না, সোজাসুজিই বলে, শ্যামলদা তোর খুব প্ৰশংসা করেছে। তুই যদি ইচ্ছা করিস পাচু, আমাদের সঙ্গে ভিড়তে পারিস। কদিন ভেবে দেখে বলব। নিশ্চয়, এ তো ছেলেখেলা নয়। সব সুখের আশা ছেড়ে জেল ফাসি সব কিছুর জন্যে তৈরি হয়ে আসতে হবে। বরং না। আসা ভাল, এসে ভড়কে গেলে চলবে না । এ বয়সে মনের এমন ভারিঙ্কি গড়ন কানাই কোথায় পেল কে জানে! এমনিভাবেই কি শিখিয়ে পড়িয়ে ছেলেদের গড়ে নেয় বিপ্লবীরা ? কাজের মধ্যে নিজের যে পরিচয় সে দিয়েছে কথাগুলি তারই প্রতিরূপ বলে বেমানান শোনায় না, মনে হয়। বয়স্ক অভিজ্ঞ মানুষের মত কথা বলার অধিকার তার আছে। 6वां श्य dश्रicन थांकद भी डांश् । কেন ? মিছামিছি বাড়ীর সবাই জুলুম সাইছে। দোকানের রোজগার একদম বন্ধ। এমনি আটকে থেকেও লাভ নেই। পালাবি ? তাই ভাবছি।