পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጋግff(ኛff S পাঁচুও ভাবে। - কানাই আর এক পথের সন্ধান দিয়েছে। মরিয়া হয়ে শুধু নলিনীকে ঘা মারার চেয়েও চরম পথ, ইংরেজ গবর্নমেণ্টের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে পড়া। পাচু জোরালো আকর্ষণ অনুভব করে, এমন বিরাট আয়োজন যাদের-সৈন্য পুলিস কামান বন্দুক তাদের-বিরুদ্ধে মরণপণ লড়ায়ে নেমে কানাই-এর মত বিপজ্জনক জীবন গড়ে তোলা, দাসত্বের মধ্যে মুক্তির স্বাদ পাওয়া । কিন্তু মনের মধ্যে কিসে যেন বাধা দেয়। নলিনীকে খুন করে ফাসি যাবার মানে সে স্পষ্ট বুঝতে পারে, ওটা তার নিজের ব্যক্তিগত অসহ জালার ব্যাপার। ওই বিদ্বেষ আর ওই আঘাতটা সৈন্যপুলিস জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট লাট-বড়লাটের প্রকাশ্য গবর্নমেণ্ট-এর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করার কল্পনা তাকে উদভ্ৰান্ত্র করে দেয়, ব্যাপারটা মনের মধ্যে আয়ত্ত করতে পারে না। কত তফাৎ শক্তির-এক দিকে কত বড় গবর্নমেণ্ট, অন্য দিকে কতটুকু কানাইয়ের দল ! ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, মাইনে করা লাখ লাখ সৈন্যরাও তো যুদ্ধে প্ৰাণ দেয়, এদিকে কত চেষ্টায় কত খুজে পেতে কত বাছ বিচার বাছাই করে কানাইদের এক একটি ছেলে যোগাড় করতে হয়। কানাই-এর মত বিশেষ গুণ না থাকলে কাজেও লাগে না। কি করে কি হবে ? সে যে বুঝতে পারে না সেটা নিশ্চয় তার দোষ। নলিনীর কথা ভাবলে পায়ের নখ থেকে চুলের ডগা পৰ্য্যন্ত তার জলে যায়। ওটাকে সাবাড়ি করে এখুনি সে হাসিমুখে ফাসি যেতে পারে, কিন্তু সারা গবর্নমেণ্টের কথা ভাবলে তো এরকম নাড়া লাগে না। একটা গভীর অতল অসন্তোষ মনটা ভারি করে দেয়, ক্ষোভের জালা ধিক ধিবিক জলে । R e d