পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এয়া জামে না বোঝে না, বিচার করবে কি ! তবে পাকার মত স্বাধীন একগুয়ে ছেলে নিয়ে এদের যে কাজ চালানো মুশকিল, এটা পাচু মানে। তাই পাকার দিকে টানলেও তার পক্ষ নিয়ে ঝগড়াও সে করে না । পাশের বাড়ীর সেই ঘেটু এসেছিল। পাচুর সে একেবারে অজানা নয়, আগেও সে কয়েক বার তাকে এ বাড়ীতে আসতে যেতে দেখেছে। কানাই-এর মা আর দিদির সঙ্গে খানিক আড়া দিয়ে ঘেটু একখানা বই চাইতে আসে। একটা বই দেবে কানাইদা ? বই নেই। ঘেটুকে দেখেই কানাই-এর মুখভঙ্গি ক্রুদ্ধ কঠোর হয়েছিল, অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে সে প্ৰায় ধমকের মত জবাব দেয়। পাচু অবাক হয়ে ভাবে, दाश्राद्म कि ! বই নেই তো নেই, কদিন ধরে এমন করছ, কেন ? কথা কইলে বেজে ওঠ ! কথা না কইলে হয়। যে মেয়ে বিশ্বাস রাখে না তার সঙ্গে কথা কওয়া পাপ। প্যাকেট খুলেছিলি জানি না ভাবছিস আমি ? আমি সব জানি। পাচুর দিকে চেয়ে ঘেটু সভয়ে বলে, আঃ, কানাইদা ! মুখ তার সাদাটে হয়ে গেছে । ন্যাকামি করিস নে ঘেটু। যা, পুলিসকে বলবি যা, অনেক টাকা দেবে। বলেছি পুলিসকে আমি ? বিশ্বাস কি ? সামান্য বিশ্বাস যে রাখে না, সে সব পারে। ছেলেমানুষ মেয়ে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে কঁাদে। রাগে ভেতরে ভেতরে জলতে থাকে। পাচু। কানাই হঠাৎ তার চোখে ছোট হয়ে যায়, বুদ্ধিহীন বর্বর হয়ে যায়। ঘেটু চলে যাবার পরে সে খানিকক্ষণ বিচলিতভাবে ছোট ছোট নিশ্বাস ফেলে। ভাল করে সব কথা না জেনে না বুঝেও তার ধারণা জন্মে গেছে কানাই কাণ্ডজ্ঞানহীন, তার মাথা বিগড়ে গেছে অনেকখানি। সেদিন বিপ্লবী দলের বিশ্বাস, তেজ, একাগ্ৰতা আর আত্মবিশ্বাসের জন্য ক্লাসফ্রেণ্ড কানাইকে RS e