পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারা জীবনটা সে কি এখানে ওখানে ঘুরে ঘুরেই কাটাৰে ? বোঝা যায় কাজের ফঁাকে তাড়াতাড়িতে লেখা চিঠি, তবু রসালো করে কিছু ভালবাসার কথা লেখার চেষ্টা অনন্ত করেছে, একটা মন্ত্রীত্বের জন্য তার প্রাণপাত চেষ্টার মধ্যে। বিনা দ্বিধায় নিবিচারে সুধা চিঠিটা আগাগোড়া পাকাকে পড়ে শোনায়, অনন্তের প্ৰেমপত্ৰ যেন তার দাম বাড়াবে। যাবে নাকি ? যাৰ না ? আজি কতকাল হয়ে গেল। কলকাতা ছেড়েছি। ! পাকার কাছে আরো দাম বাড়াতে চায় সুধা । বাড়াতে ঘাড়াতে কোথায় গিয়ে ঠেকাবে তা সে জানে না, কিন্তু অন্য উপায়ও তার নেই। শুধু দাম ঘাড়ানো, নিজেকে দামী করা । সুদে আসলে সব উসুল করে নেবার সাধ্য তার আছে, কিন্তু সাধে বোধ হয়। কুলিয়ে উঠবে না। আর কোন দিন। আজকাল কত বার কত বিহবলতা আসে। পাকার, কত বায় হাত ধরে শাড়ি ধরে টানে, আচমকা গলা জড়িয়ে ধরে। সেটা সুধাকেই পরিণত করতে হয় ছোট ছেলের মায়ের হাত ধরে টানায়, মায়ের গলা জড়ানোয়। কি রকম থমথমে মুখে স্নেহাৰ্ত্ত গাঢ় চোখে শান্তভাবে চেয়ে ধীরে ধীরে পাকার কপালে হাত বুলিয়ে দিলে, ছোট একটি চুমু খেলে পাকা শিশুর মতই ঝিমিয়ে যায়, তার চেয়ে কে ভাল করে জানে ? মাঝে মাঝে তাই অসহ জালায় অদম্য আক্ৰোশে সুধা জলে পুড়ে ফেটে যেতে চায়। কেন শান্ত হয়। পাকা ? সব দিকে দুরন্ত অবাধ্য ও উচ্ছ জ্বল, কোন শাসন, কোন বাঁধন মানে না, বয়সের সীমা পার হয়ে অভিজ্ঞতার দূৱ দূরান্তরে রহস্য আবিষ্কার করতে ছটফট করে, এক দিনও কি সে অবাধ্য হতে পারে না তার স্নেহের, অমান্য করতে পারে না তাকে ? स्त्रांधेि ऊरत्र कांज-श्रीव्र फ्रान् श्रे ? ইস! তেমনি পরিচিত বিহবল দৃষ্টি, কামনার অতল স্বপ্ন। সুধার স্পষ্ট মনে হয়, এ সময় পাকা যেন একেবারে ভুলে যায়। সে কে এবং সুধাই বা কে । দু'হাত ধরে এত জোরে তাকে টামার মত স্পষ্ট বাস্তব চাওয়াও তার তাই এত অনুগ্ৰী, 8 8bም