পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন ? সেদিন যে বললাম। আমি সায়ান্স পড়ব ? বলেছিলে নাকি ? মনে নেই। পরদিন অরবিন্দ মফঃস্বলে যায়। কয়েকদিন পরে ফিরে এসে সে রিপোর্ট দাখিল করে যে সোনাগার কাছে ডিঙি-নৌকায় নদী পার হবার সময় ডিঙি উন্টে সে নদীতে পড়ে যায়, অতি কষ্টে নিজের প্রাণ বঁচিয়েছে বটে, কিন্তু সরকারী রিভলভারটি নদীতে খোয়া যায় অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে। সরকারের সে বিশ্বাস্ত কৰ্ম্মচারী, কিন্তু দুঃখের সঙ্গে তাকে জানাতে হচ্ছে যে চলাচলের এমন অবস্থার মধ্যে তাকে কাজ করতে হয় যে শুধু স্বাস্থ্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। না, প্ৰাণ নিয়ে পৰ্য্যন্ত টানাটানি পড়ে। অরবিন্দ বুঝতেও পারে নি যে চিন্তায় ভাবনায় দিশে হারিয়ে কি কড়া আর বাজালো রিপোর্ট সে পেশ করেছে ডিঙি উল্টিয়ে নদীতে পড়ে রিভলভার হারানোর গল্প ফেদে । দপ্তরে সাড়া পড়েছে । ওপরওয়ালাকে নাড়া দিয়েছে। একুশ বছরের ব্রিলিয়াণ্ট সার্ভিস, একুশ বছরের কৰ্ত্তব্যপরায়ণ দায়িত্বশীল নিখুঁত চাকর। কত ফাকিবাজ রায় বাহাদুর হয়ে গেছে, অরবিন্দ আজ পৰ্য্যন্ত কোন পুরস্কার পায় নি। রিপোর্টের জবাবে হঠাৎ এক মাসের মধ্যে অরবিন্দ উচ্চতর গ্রেডে উঠে গেল। নববর্ষের লিস্টে সে রায় বাহাদুর হয়ে গেল। কিসে কি হয়! RR (ting)-3t