পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰে কথাতেই শুরু হোক, দুই কিশোরের আলাপে ইংরেজ আসবেই, ইংরেজ এলেই আসবে আনুষঙ্গিক শোষণ পেষণ দারিদ্র্য ঘুৰ্ভিক্ষ মহামারীয় কথা এবং তারপর সহজে সন্তায় পরাধীনতার অভিশাপ যে ঘুচিবে না এই সিদ্ধান্ত । এই সাতাশ-আঠাশ সালের দেশ-জোড়া দুর্দিনে এদেশের কোন ছেলেবুড়োর আলাপে এসব কথা না উঠে পারে? আঁতুড়ের শিশুও টের পায় তার সর্বাব্দীণ অভিশাপের কারণ কি। কিন্তু পাচুর আলাপটা ঠিক তেমন নয়। একুশ সালের উদগত আশা স্বপ্ন হয়ে গেছে, বোমারুদের অদ্ভুত দুঃসাহস ছাড়া চারিদিকে নিক্রিয় ক্ষোভ, কলকারখানায় ধৰ্ম্মঘটের শ্ৰীবৃদ্ধিতে স্বাধীনতার ইন্দিত সবার চোখে পড়ছে না, বিদেশীর শাসন আর নিজের দেশ নিয়ে সাধারণ মানুষের নিক্রিয় অবসাদের অফুরন্ত আলোচনা শেষ হচ্ছে হতাশায়। না, এদেশের স্বাধীনতা সহজে নয়, সস্তায় নয়। তার মানে কিন্তু মানুষ এই বুঝছে না যে মুক্তি সহজে যখন হবে না। তখন সেজন্য কঠোর লড়াই করি, সস্তায় যখন হবে না। তখন চরম মূল্য দিই-সবার ভাবখানা এই যে কি আর করা যাবে, আমাদের মন্দ কপাল ! কে জানে কবে কি ভাবে দেশের ভাগ্য ফিরবে ? অন্য অঞ্চলের অন্য জেলায় গ্রাম আরও ঝিমিয়ে গেছে। পাচুদের এগুলি লড়ায়ে গ্রাম, খাজনা বন্ধের তুমুল সংগ্ৰাম হয়ে গেছে এদিকে, আজও ক্ষতচিহ্ন চোখে পড়ে। এদিকের হতাশায় রীতিমত বুক পুড়ে যায়, খুচখাচ আন্দোলনের নামে দারুণ অবজ্ঞা জন্মায়—তার চেয়ে কিছু x হবে না ধরে নিয়ে দাওয়ায় বসে গুডুক निई डांवा । পাচু কিনা সংস্পর্শে এসেছে, একটু ছোয়াচ পেয়েছে তাদের, একুশের জোয়ারাস্তিক ভঁাটার আদর্শের এই চরম টানের দিনে একমাত্র যারা প্ৰাণের নাওকে স্রোতের বিপরীতে টেনে নিতে প্ৰাণপণ করেছে, পাচুর কথাবাৰ্ত্তা DBDD BD DBDB BDDB uBB S SDDBD DB BBDD DDDD DDD চাষী কিশোরের, বঁাশঝাড় শালবন আম কঁঠালের আদিম রহস্য ঘেরা ডোবাপুকুর, গোয়াল কুঁড়ে, হাপ্ত হাট, জমিদারের দীঘি-দালান, দিনের RvD e