পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চেয়ে নতুন, সবচেয়ে বড় আর সবচেয়ে সুন্দর হবে। অন্ত এলাকাটিতেও বাষ্ঠীটা বেমানান হত না মোটেই। সামনে বাগান, চুনকাম করা ধবধবে সাদা মানুষ-সমান উচু প্রাচীর। দোতলার চারটি ঘরে আলো জলছে। , কোন ঘরে নতুন মামী আছেন কে জানে ? S BDBB BDDLDD DBD S LBDLL DDDLLDD KDS DBB E দিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে বাড়ীটা অতিক্রম করে চলে যাচ্ছিল, বাগানের শেষ কোণটার কাছে পৌছে। থমকে দাড়াল। ফুলের তীব্ৰ সুগন্ধ তার নাকে লেগেছে একটা মনোরম মাদক আঘাতের মত। একটা দুটাে নয়, অনেকগুলি ভুইচাপা। নিশ্চয় ফুটেছে দেয়ালের ওধারের গাছে, নইলে রাস্তায় এমন গাঢ় হত না গন্ধ যে দিম নিতে তার কষ্ট হয়। এত প্রিয় এই গন্ধ তার, অভিজ্ঞতা অনুভূতি স্মৃতির মত, আনন্দ-বেদনার স্বাদের মত । গেট খুলিয়ে গট গট করে বাড়ীর ভেতর গিয়ে নতুন মামীর সঙ্গে দেখা করা। যায়, ফিরবার সময় আলো দিয়ে খুজে কয়েকটা ফুল পেড়ে সে নিয়ে যেতে পাৱে অনায়াসে । কিন্তু ফুলের জন্য হার মানবে নতুন মামীর কাছে ? একেবারে প্রমাণ করে দেবে যে, না দেখে আর থাকতে পারল না বলে পাগলের মত দেখতে ছুটে এসেছে। রাত এগারোটার সময় ? প্রাচীর ডিঙিয়ে মিনিট দশেক খোঁজাখুজির পর দুটি ভূইচাপা ফুল উপড়ে নিয়ে পকেটে ভরে পাকা আবার রাস্তায় নেবে যায়। নাকের কাছে ফুল দুটিকে একটবারের জন্যও সে ধরে না। নতুন তাজা ভুইটাপার গন্ধ শোকার সে রোমাঞ্চকর রতিও সে বাতিল করে দেয়। বড় এক লাগছে। বড় বেশি। রকম এক লাগছে। কেমন জটিল আর আড়ষ্ট হয়ে আসছে তার নিজের কাছেই নিজের মতিগতির স্বাচ্ছন্দ্য। একাকীত্ব দিয়ে যেন ক্রমাগতই সে জড়িয়ে জড়িয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বেঁধে ফেলছে নিজেকে। জীবনকে মেনেও এ কি অভিশাপ । DDD DB BD DBBS BBD BBD D BD V8