পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই কি ছাড়ি -ভূবন বলেছে মৃদু হেসে। প্ৰকাশ কি শান্তি পাবে না পাবে তা নিয়ে ভুবনের খুব বেশি মাথাব্যথা নেই, যে কোন একটা শান্তি পেলেই হল। আসলে শান্তি যা পাবার এখন থেকেই পাচ্ছে ভৈরব, তাতেই ভুবন খুশি। শহরের দশজন ভদ্রলোকের সামনে প্ৰকাশ্য ভাবে ভৈরবকে যে অপদস্থ হতে হচ্ছে, মাথা তার হেঁট হয়ে যাচ্ছে, এটাই ভুবনের আসল লাভ। শুধু ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেও যদি শেষ হয় ব্যাপারটা, সে ক্ষমা DT BDBB BDBBDBBDSS TDB DDD DD DBD DDBBDB DBBB KD ছেলের আবার কিসের ক্ষমা চাওয়া, বিশেষ করে এ রকম সভায়! শুধু ওই ছোড়া হলে, স্কুলে হেড মাস্টারকে জানালেই সোজাসুজি ওর শান্তি হত। এত কাণ্ড করবার দরকার কি ছিল। তবে । টেবিলের উত্তর পাশের লম্বা সারির মাঝামাঝি গভীর মুখে বসে আছে ভৈরব। মাথা তার হেঁট নয়, মুখে লজ্জা বা অপমানের চিহ্নও নেই। তবু তার দিকে চেয়ে খুশি হয়ে উঠছে ভুবন । সভার কাজ একবার আরম্ভ হলে হয়। সব তার রেডি করাই আছে। ক্লাবের সভ্য তিনজন ভদ্রলোককে দিয়ে সে জোর গলায় ঘোষণা করবে, প্ৰকাশের অমার্জনীয় অপরাধের পেছনে ভৈরবের পরামর্শ ছিল, উসকানি ছিল। মৃদু ক্ষমার সুরে তারা উল্লেখ করবে। ছেলেটির অল্প বয়সের কথাটা, পিছনে খুটি না থাকলে কি এত সাহস হয় এইটুকু ছেলেরা ইঙ্গিতের পর ইঙ্গিত ছড়াবে নানা কৌশলে যে আসল অপরাধী ভৈরব। অনেকের মন বিষিয়ে যাবে, তিতে হয়ে উঠবে লোকটার বিরুদ্ধে। অনেকে বিরক্ত হবে । একটা ব্যাপার শুধু ভাল লাগছে না ভুবনের। মনে বড় একটা খটকা লেগেছে তার। কলকাতা থেকে অনন্তলালের কােল মফস্বলের এই শহরে এবং हैंभाव এই সভায় হঠাৎ আবির্ভাব। এই শহরেরই সে ছেলে, আত্মীয়স্বজনেরা এখনো তার পুরানো ভিটে দখল করে বসবাস করছে। ভৈরবের সঙ্গেও বুঝি প্যাচালো একটা কি সম্পর্ক আছে তার। পরীক্ষা পাসের কৃতিত্বে অনন্ত এ শহরের মুখোজ্জল করেছিল ; শহরের মুখ সে আরও উজ্জ্বল করেছে ব্যারিস্টারীতে অল্পসময়ে অসাধারণ পশার জমিয়ে এবং গত আন্দোলনে যোগ V