পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনের বিধবা বোন চপলা তার মেয়েকে বলে, ওরকম মাজতে ইচ্ছে হচ্ছে cNeil di cocf. পনের বছরেৱ প্ৰতিমা ৰলে, কি রকম মানিয়েছে দেখো মা ! মানিয়েছে, স্টেজে মানিয়েছে,-চািপলা বলে, মেয়েকে অত্যন্ত বিরক্ত কয়েছে জেনেও ধীর-স্থিৱ ভাবে বলে-তুমি যদি বাড়ীতে ওরকম বেশ কর, স্কুলে যাও, সবাই হাসবে। পাকাও হাসবে। তা ছাড়া কি জানো, তখনকার দিনেও J LLL LLLLB SBBBBBS BD DSS D LL LLL BB BE DB “তখনকার লোকেরাও ভাবত সং লেজেছে । মা, আমি রানীর কাছে গিয়ে বসি ? বলে। চািপলা নিশ্বাস ফেলে। উপায় কি ? সুধার সঙ্গে কথা বলে চপলা। ভুবন ও ভৈরবের বাড়ীর মেয়ের কেউ কারো বাড়ী বেড়াতে যায় না বটে, কিন্তু তাদের মধ্যে কথা বন্ধ নেই। কথা না বলে দূরত্ব বজায় রাখাটা ধাতে আসে না মেয়েদের। নিজেদের মধ্যে ফিসফাস গুজগাজ নিন্দ ও সমালোচনা চলে অফুরন্ত অন্য বাড়ীর মেয়েদের সম্পর্কে, দূর থেকে এড়িয়ে চলা চলে, সামনে পড়লে পরিহার করাটা ধাতে সয় না। নলিনী দারোগার বৌটাকে পৰ্য্যন্ত ছেটে ফেলতে পারে নি মেয়েরা এখানে, পারলে দোকান সাজানোর মত গয়না। আর অদ্ভুত ঝলমলে শাড়ী পরে বেচারি ঘেঁষাৰ্ঘেষি মেয়েদের মধ্যে একেবারে একা হয়ে যেত, সাখী থাকত শুধু তার ন’মাসের ছেলে রাখবার ৰিটি । দারোগার বৌ! কিছুকাল আগেও যে দেশে মা ছেলেকে আশীৰ্বাদ করত এই বলে যে, দারোগী হও,-সেই দারোগার বেী ! অহঙ্কারে এমনিই তার গলা উচু, বুক চেতানে, আর একটু অহঙ্কার বেড়ে নিজে থেকেই সে যদি একা হয়ে যেত কারে সঙ্গে কথা না বলে, সকলে খুশি হত, স্বস্তি পেত। পান চিবিয়ে চিবিয়ে তার কাটা কাটা কথা, নাক সিটকানো, বয়স্কাদেরও তুমি তুমি করা, ভুল করে অন্যটার বদলে আজ এই জড়োয় নেকলেসটি পরে আসবার কথাটা হাজারবার উল্লেখ করা-শুনতে 8tr