পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক দেরি। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। একুশ-বাইশের আন্দোলনের জোয়ার কেটে ভঁাটা এসেছে অনেক দিন, মানুষের মনে বড় হতাশা, বড় ব্যাকুলত । আশেপাশে কিছুই ঘটছে না, ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের আগামী নিৰ্বাচনে ভৈরব আর ভুবনের লড়াই ছাড়া। এখন একমাত্র ভরসা তো অনন্তলালের মত মানুষেরা, যদি তারা কিছু করতে পারে! সভার আবহাওয়ায় কেমন একটা পরিবর্তন আসে। টেবিলের পূব-পশ্চিম কোণে কয়েকজন কি বলাবলি করে নিজেদের মধ্যে। ভুবন অবস্থাটা অনুমান করে তাড়াতাড়ি শিবকালী সরকার মশায়াকে সভাপতি করার ব্যবস্থা করে ফেলবার জন্য উঠতে না উঠতে ওদিকের কোণ থেকে মনোমোহন ঘোষ উঠে দাড়িয়ে বলে, আমাদের বড় ভাগ্য যে অনন্তবাবুর মত লোককে অকস্মাৎ ঘটনাচক্রে আমরা আজ আমাদের মধ্যে পেয়েছি। আমি অনন্তবাবু বললাম, যদিও অনন্ত বলাই উচিত ছিল, কারণ, ছেলেবেলায় একদিন ওর সঙ্গে এই শহরে ধূলোমাটি মেখে খেলা করেছি, তুই-তুকারিও করেছি, যদিও অনন্ত আমার দু-তিন ক্লাস নীচেই পড়ত। কিন্তু নিজের চেষ্টায়, নিজের সাধনায় উনি আজ এমন স্তরে উঠে গেছেন যে ধূলো-মাটির খেলার সাখীদের কাছেও উনি মহাপুরুষ। যাই হোক, আমি লম্বা বক্তৃতা দেব না, সভাপতির নাম প্ৰস্তাব করতে উঠে সুদীর্ঘ বক্তৃতা দিলে আপনারাও হাসবেন । যাই হোক, আমি প্ৰস্তাব করিতেছি যে আমরা যখন ভাগ্যক্রমে শ্ৰীযুক্ত অনন্তবাবুকে আজ আমাদের এই সভায় পাইয়াছি, তিনি আজ সভাপতিত্ব করিয়া আমাদের বাধিত ও আনন্দিত করিবেন। আধাবুড়ো শ্ৰীধর উকিল উঠে দাড়িয়ে প্ৰস্তাব সমর্থন করে বলে, আমি সৰ্ব্বান্তঃকরণে এই প্ৰস্তাব সমর্থন করিতেছি । সত্য কথা বলিব কি, আমার প্ৰাণটা কেমন যেন আনচান করছে। সময় বয়ে যায়, কাল-স্রোতের মত । আজ যে শিশু, কাল সে বালক, পরশু তরুণ, পরদিন সে আবার বৃদ্ধ, আমারি মত মরণের প্রতীক্ষায় ধুকছে। কিন্তু জীবন কি ? মরণ কি ? কেহ কি কোনদিন LBLBD DDBDD S DDDS DDDS BDSS Dg BBB BBBB DDD S BBB BDBDJS কৰ্ম্ম । সেই কৰ্ম্মের প্রতীক আমাদের এই অনন্তলাল। কৰ্ম্মন্যধিকার বলিয়া যে একমাত্র সার্থক মন্ত্র আছে, জগতে সেই মন্ত্রের সাধক, ভবিষ্যৎ মহাপুরুষ • • •