পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেয়ের বিয়ে দেবার শ্ৰান্তিতে, চারিদিকের এই নীরস বাস্তব ব্যবস্থা আর বেসুর কলরবের চাপে, উজ্জল আলো আর উলঙ্গ আনন্দের কটুম্বাদে সত্যই ফাপর ফাপর লাগে সুরেনের। সব বন্ধ করে পালিয়ে যদি যাওয়া যেত দুরে, বহুদূরে, এসব হাঙ্গামার সীমা ছাড়িয়ে, যেখানে শুধু রাধাকৃষ্ণের প্ৰেমহের বিচিত্ৰ মধুর রসে মশগুল হয়ে জগৎ-সংসার ভুলে থাকা যায়। পাকা খারের যেমন কাজ আর দায়িত্বের ঝঞ্চাটে দিম আটকে আসে, |্যন্ত নেশায় মাত্রা বাড়িয়ে ডুব দিতে প্ৰাণটা ছটফট করে, সুরেনেরও গ " || SDDB LBDBBLD EBB BDB DD YBB BDB DD DS BDDDDD আন্দোলন রাশ টেনে থামিয়ে দেওয়া উচিত হয়েছে কি হয় নি, সেই তর্ক। বয়ন সংঘের ভবতোষ বলে, আর কিছুই করার ছিল না। আন্দোলন বিপথে চলার উপক্রম করলে সেটা বন্ধ করাই নেতাদের কৰ্ত্তব্য। অমিতাভ মৃদুস্বরে মন্তব্য করে, আন্দোলন বিপথে যায় কেন । ভবতোষ বলে, দেশের লোক নিয়ে যায়। সংযম হারায়, নেতাদের কথা শোনে না, উচ্ছঙ্খল হয়ে ওঠে। অমিতাভ বলে, কিম্বা আন্দোলনটাই ভুল পথের বলে দেশের লোক ধৈৰ্য্য হারায়, নেতাদের কথা শোনে না, নিজেরা আন্দোলন চালাতে চায় ? ভবতোষ বলে, কি যে বলে তুমি অমিতা! সাধারণ লোক কত রাজনীতি বোঝে । অমিতাভ বলে, স্বাধীনতা চাই, এটুকু তো বোঝে ? বৃটিশ শাসন ধ্বংস করা চাই, এটুকু তো বোঝে ? মুখ বুজে। মার খেলে স্বাধীনতা আসে, এ রাজনীতি তারা বুঝতে পারে না, তা ঠিক। কোন দিন বুঝতে পারবেও না। যে মারে তাকে মারতে হয়, এই সোজা সত্যটা তারা বোঝে। চিরকাল তাই বুঝবে। তোমরাই দেশের শত্রু। বুঝলে অমিত, মাথা-গরম তোমরাই দেশের সর্বনাশ করছি ! কেন ? আমরা তো নেতা নাই ! ዓ¢