পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামে যা-তা রটাতে ভাল লাগে না। ভারতের যুগযুগান্তের জ্ঞানকর্মের সাধনা র্তার মধ্যে মূৰ্ত্ত হয়ে থাকে, তাকে শত শত প্ৰণাম। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, তাহলে রাজনীতি করতে আসেন কেন ? চল্লিশ কোটি লোকের ভাগ্য নিয়ে রাজনীতি, "সেটা শুধু একটা সাইড লাইন হিসাবে গ্রহণ করেছেন, একথা বললে যে তার মত মহাপুরুষকে অপমান করা হয় ভবতোষবাবু! তা ছাড়া দেখুন, তার নীতি বুঝতে হাবুডুবু খেতে হয়, কুল-কিনারা মেলে না, একেবারে অবতারের লীলাখেলার সামিল করে তঁর মত আর পথকে সমর্থন করতে হয় ডাক্তারবাবু। মানুষটা দেশের জন্য এত করেছেন এভাবে তাকে অপমান করা কি উচিত ? তার চেয়ে তিনি যখন রাজনীতি করেন। তঁাকে নিছক রাজনৈতিক নেতা বলে ধরে নিলেই গোল থাকে না। আমরা তা হলে নিশ্চিন্ত হয়ে তার নীতি বিচার করতে পারি, তার পথ ঠিক না ভুল তাই নিয়ে ঝগড়া করতে পারি। তুমি করবে। গান্ধীজীর বিচার! ডাক্তার রায়চৌধুরী বলে, তার চেয়ে BDD BDD DS DBDB BD DBBBD BD DBDS চটেন কেন ? অমিতাভ বলে, স্বাধীনতার লড়াইট ফাসিয়ে দেওয়া, তার লজা আর গায়ের জালাটাও একচেট করে নেবেন ? আমারও হার হয়েছে, আমারও লজা করে, গা জলে । আশেপাশের ক'জন যারা শুনছিল সশব্দে হেসে ওঠে। ডাক্তার রায়চৌধুরীর নিরুপায়ের আঘাত হেনে আত্মসমর্পণের ঝাজ উড়ে যায়। সে হাসিতে । R এইখানে, চেয়ারের সারির এই সাধারণ প্ৰান্তে এরকম আলোচনা বা তর্ক বা কথার লড়াই শুধু এইটুকুই চলে, তাও অমিতাভ আলোচনার সূত্রপাতটা ঘটিয়েছিল বলে। ডাক্তার রায়চৌধুরী সদ্য সদ্য গান্ধী আশ্রম ঘুরে এসেছে, সেখানে ইলেকসন সম্পর্কে কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির একটা যে সাধারণ বৈঠক হয় সেই কমিটির একজন মেম্বারের সঙ্গে দর্শক হিসাবে-ডাক্তার রায়চৌধুরী ዓኞ