পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করার ফ্যাসাদটা বাধ্য হয়েই মানতে হবে। কিন্তু সব যদি মেনেই নেয় ছেলেটি, মিছামিছি হাঙ্গামা করে কি লাভ ! একটি স্কুলের ছেলে, অবুঝ ছেলে, একটা কাজ করে বসেছে বলে তার বিরুদ্ধে এমন একটা কাণ্ড করা আমার কাছে বড় লজার বিষয় মনে হয়। পাকা, আই মিন, প্ৰকাশ, উঠে দাড়িয়ে বল তো তোমার কি বলার আছে ? প্ৰকাশ তাড়াক করে উঠে দাড়িয়ে বলতে আরম্ভ করে, আমি স্বীকার করছি যে আমার দোষ হয়েছিল। রাখালবাবুকে মারা আমার উচিত হয় নি। এক বছর ধরে চাওয়া মাত্র ওই বইগুলি রাখালবাবু আমাকে gिभ्रCछ्न् কোন বইগুলি প্ৰকাশ ?-অনন্ত প্রশ্ন করে। পাকা চােখ নামিয়ে চুপ করে থাকে। খানিক চুপ করে থেকে অনন্ত আর একবার আরও স্পষ্ট ভাষায় প্রশ্ন করলে প্ৰকাশ মরিয়া হয়ে বলে, কতকগুলি উপন্যাস আর সেকুসের বই। कि कि दई ?-अनरुठ अंध कद्ध। আগে থেকে শেখানে-পড়ানো আছে, তবু প্ৰকাশ এবার রেগে যায়, আপনি জানেন না ? অনন্ত ধমক দিয়ে বলে, আমার জানার কথা হচ্ছে না প্ৰকাশ। তুমি কি জান বলে । প্ৰকাশ একটু চুপ করে থেকে কলের মত বলে যায়, পচিশ-ছাব্বিশখানা খারাপ ধরণের বই লাইব্রেরিতে আছে। আর সেক্স-সাইকলজির কুড়িবাইশটা বই আছে। সেক্রেটারির পারমিশন ছাড়া ওসব বই ইসু করা বারণ। আমি আজ এক বছর বিকেলে খেলা বন্ধ করে এসে রাখালের, মানে, রাখালবাবুর কাছ থেকে এসব বই নিয়ে পড়েছি, নটার আগে ফেরত দিয়ে বাড়ি চলে গেছি। সেদিন স্যাণ্ডাসের প্রিন্সিপলস অব লাভ বইটা চাইতেই কোথাও কিছু নেই খোঁকিয়ে উঠে রাখাল বলল, যা যা ফচকে ছোড়া, লাভের বই পড়তে হবে না। ফচকে ছোড়া বলেছিল রাখালবাবু তোমাকে ?