পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাত s একদিন হঠাৎ চামারদের বস্তিটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ঘটনাচক্রের কি বিচিত্র গতি । একদিন নদীর ধারে অব্যবহাৰ্য্য পড়ে। জমিতে চামড়ার কারখানা বসায়, জঙ্গলে আমবাগানে চামারদের বন্তি গড়ে ওঠায় খুশি হয়ে সীতাপুরের রাজপরিবার ভেবেছিল যে ভগবান সত্যই দয়ালু, শূন্য থেকে এমনি ভাবে কিছু পাইয়ে দেন টানাটানির রাজভাণ্ডারে! DBDDDBBD BDDB DDBB SB Bu DBBBS DDB BBB DDDD DDD এই দরকারটা, মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে উঠত। চামড়ার কোম্পানীর কাছ থেকে টাকাটা পেয়ে ভীমশ্ৰীতিলক ঝাড় দেড় ঘণ্টা গৃহ-দেবতার পূজা করেছিল। সেদিন কে কল্পনা করতে পেরেছিল, লিটন ময়দানের দিকে গড়ে উঠবে। শহরের ফ্যাশনেবল কোয়ার্টার, বেড়ে উঠে ছড়িয়ে পড়তে চাইবে, এমন অদ্ভুত অবিশ্বাস্য রকম বেড়ে যাবে জমির চাহিদা আর দাম এবং এমন অভিশাপ হয়ে উঠবে ওই মরা নদীর পোড়ো তীরের চামড়ার কারখানার অস্তিত্ব | দখিনা হাওয়া একটু পশ্চিম ঘেঁষা হলেই এদিকে দুৰ্গন্ধ যায়, যেদিকে বাড়বার জন্য উদ্যত হয়ে আছে শহরের নতুন ফ্যাশনেবল এলাকা। শুধু এই কারখানাটার জন্য এদিকে ছড়াতে পারছে না। নতুন শহর, শত শত বিঘা জমি চড়া দামে বিক্রি হতে পারছে না, নগদ টাকা আসছে না। রাজকোষে । বাবা শালার বুদ্ধি ছিল না মোটে ! জয়শ্ৰীতিলক বলে। সে-ই এখন রাজা সীতাপুর এস্টেটের। কোম্পানীর নিরানব্বই বছরের লিজ! মোটে একশ' বিঘার লিজ । এবং চামড়ার কারখানা খুলবার, চালাবার, বাড়াবার স্পষ্ট ঢালাও অধিকার SRO