পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমেত লিজ । এই একশ' বিঘার আধ মাইলের মধ্যে কোন দিন যে কখনো জমির চাহিদা হবে তাও কল্পনাতীত ছিল এক যুগ অর্থাৎ মোটে বারো বছর আগেও। অমন কত অজস্র জমি, ঢাল, লালমাটির পাহাড়, জঙ্গল ইত্যাদি শত শত বছর ধরে পড়ে আছে । একশ’ বিঘা নয়। বরবাদ গেছে। জলের দামে । কারখানার গন্ধে আরও হাজার-বারো শ” বিঘা যে স্বপ্নের দামে বিক্রি হবার সম্ভাবনা নিয়েও বিক্রি হচ্ছে না, হবার আশাও নেই, এ জালা কি সয় ? কারখানার মালিক কানপুরের মহম্মদ আলি আবদুরী ঈষৎ ভূড়িযুক্ত রোগা লম্বা পাকা ব্যবসায়ী, ব্যাপারের গতি চেনে। জানে যে তাকে শেষ পৰ্যন্ত সরাতে হবেই কারখানা, কারণ নতুন যে শহর গড়ে উঠছে তার পিছনে বেশ BBBDD BBDDB BBDDB DBLSS DD D DBDD DDB LB DBBD BDD DDD সরকারী চাকরের এবং সরকারের পেয়ারের নেতাদের । শেষ পর্যন্ত লিটন টাউনের বিস্তার কোনমতেই ঠেকানো যাবে না। মহম্মদ আলি আবদুরী তাই জানিয়েছে। ভবিষ্যৎ মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনায় হিসাবমত যথোচিত মূল্য পেলে এবং কারখানা সরিয়ে নেবার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলে উদারভাবে ন্যায্য দাবি ত্যাগ করতে সে রাজী আছে। সুবিধা পেয়েছে, সে ছাড়বে কেন ! এ অন্যায়। শুধু যে অসহ্য ঠেকে জয়শ্ৰীতিলকের তা নয়, বড় বড় সরকারী অফিসার ও নেতাদের পর্য্যন্ত রাগ হয়। আইন যাদের তারাই যে মালিক আইনের-সেটা খানিক জেনেও অতটা স্পষ্ট করে জানত না মহম্মদ আলি আবদুরী। তিন মাসের চেষ্টায় তরুণ ম্যাজিষ্ট্রেট হাটলিকে শিকারে নিয়ে যেতে পারল জয়শ্ৰীতিলক- অর্থাৎ তার এস্টেট কারবার যারা চালায় তারা । এত সময় লাগল। এই জন্য যে আগে থেকে কার্লটনের মন ভিজিয়ে কাজ আদায়ের যথোচিত চেষ্টা হয় নি। অতটা ধরতেই পারে নি। কার্লটনকে কেউ। চুপচাপ থাকে, আড়ালে থাকে, নিজে সোজাসুজি ঘা মারার বদলে নলিনীকে দিয়ে বা দেশী কোন অফিসারকে দিয়ে আঘাত হানে,-গোড়ায় সত্যই অতটা বুঝে উঠতে পারে নি। সকলে । নিজের ক্ষমতা নিজের হাতে খাটানোর সুখ যে Σ Ν. Σ