পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারখানায় আগুন দেবার ব্যবস্থা করেছিল ইন্দ্ৰ। কিন্তু দেখা গেল মহম্মদ আলিও কম চালাক নয়। সেও ইতিমধ্যে লিটন-ফণ্ডে আরও এক হাজার টাকা দান করে স্বয়ং কার্লটনের কাছে মজুরদের হাঙ্গামা ও আক্রমণ থেকে কারখানার নিরাপত্তা বিধানের জন্য আবেদন করেছে । কার্লটনের সঙ্গে দেখা করে সে নিজেও অবস্থাটা খুলে জানায়। কারখানা সরিয়ে নেওয়া হবে, অনেক মজুর ছাটাই হবে, বন্তি তুলে দেওয়া হবে, এসব গুজব শুনে মজুররা ক্ষেপে উঠেছে। এই সুযোগে ওদের মধ্যে কয়েকজন লোক সরকার-বিরোধী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। কার্লটনের বুক কেঁপে যায়। কী সৰ্ব্বনাশ! ইন্দ্ৰকে কারখানায় হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে বলার সময় সে তো তাদের সাবধান করে করে দেয় নি যে, মজুরদের যেন ক্ষেপানো না হয় । এক মুহূৰ্ত্ত চিন্তা করে কার্লটন বলে, ওসব বাজে গুজব। তোমার কারখানা ঠিক থাকবে। আমি হার্টলিকে চিটু পাঠাচ্ছি যেন পুলিস দিয়ে তোমার কারখানা প্রোটেক্ট করে । বলে বেয়ারাকে ডেকে মহম্মদ আলিকে এক কাপ চা এনে দেবার হুকুম দিয়ে বলে, বেশ বেশ। কথাটা হল কি, তুমি নাকি লীগের বিরুদ্ধে যােচ্ছ, ংগ্রেসীদের পক্ষ নিচ্ছ ? মহম্মদ আলকে এভাবে ভজিয়ে কার্লটন সত্য সত্যই হুকুম দিল যে, মহম্মদ আলির কারখানায় পুলিস এবং দরকার হলে মিলিটারী প্রোটেকশনের ব্যবস্থা 6श्न आदिलgश् कव्रा श्श्न । দালালদের নিয়ে কারখানায় আগুন দেওয়া অসম্ভব হয়ে গেল ইন্দ্রের পক্ষে । কার্লটন প্ৰকারান্তরে বলে পাঠাল যে কারখানার বদলে বস্তিতে আগুন দিলেও আসল কাজ হাসিল হবে। দুটাে জ্যান্ত মানুষ আর কিছু চুরি করা চামড়া পুড়ে উৎকট গন্ধ ছড়াল R8